চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থেকে অপহৃত হওয়া প্রচারিত নারীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসন যৌথ প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থেকে অপহৃত প্রচারিত নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১০টায় কয়েকজন ছাত্র জানান একটি সিএনজি থেকে একজন নারী চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছেন এবং জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছাত্ররা সাথে সাথে পিছু নিলেও সিএনজিটিকে ধরা সম্ভব হয়নি ।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সার্কিট হাউসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিষয়টি অবহিত করলে ওই নারীকে উদ্ধার করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত স্থানে প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সিসিটিভি পর্যালোচনা করে উক্ত সিএনজি চালককে আটক করার পরে জানা যায় মেয়েটিকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নামিয়ে দেওয়া হয়।
পরে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন ও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোরোগ বিভাগ থেকে উক্ত নারীকে উদ্ধার করেন।
উক্ত নারীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত নারীর নাম ফাতিমা জিন্নাত। তার একটি শিশুসন্তান গত চার দিন যাবত শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যায় চট্টগ্রামের পাচলাইশে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার রাত থেকে উক্ত নারী অসংলগ্ন আচরণ করেন এবং উপস্থিত আত্মীয় স্বজনকে আঘাত করা শুরু করেন। এমতাবস্থায় উক্ত নারীর বাবা ও তার স্বামী বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে উক্ত নারীর স্বামী লোকমান হোসেন বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলেও তিনি যেতে চাচ্ছিলেন না। এ সময় সিএনজিতে উক্ত নারী জোরে চিৎকার করতে থাকেন এবং পাঁচলাইশে আশেপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চাইতে থাকেন, যে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে উক্ত নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ৷ (চমেক) হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন. উদ্ধার অভিযানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সহযোগিতায় নারীকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেন।
