নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবির কর্তৃক গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’র নামফলক ভাংচুরের প্রতিবাদে জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’র নামফলক ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুৃক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম স্বাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, মহানগরীর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী শহীদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার বীর মুৃক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল গণি, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ মারূফ, জেলা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, খুলশী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ, কোতোয়ালী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্র নাথ সেন, আকবর শাহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ, চান্দগাঁও কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন, সদরঘাট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, পাহাড়তলী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর, পতেঙ্গা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাগির হোসেন, বাকলিয়া কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, বন্দর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম জতু, পাঁচলাইশ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, জাতীয় সংবাদ সংস্থা এনএনবি’র চট্টগ্রাম প্রধান রনজিত কুমার শীল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান।
এসময়উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক দিলীপ দাশ, নেপাল সেনগুপ্ত, মোঃ ছবুর, প্রশান্ত সিংহ, শম্ভু দাশ,
আশীষ গুপ্ত, সৈয়দ আহমদ, শম্ভু দাশ, শহীদুল ইসলাম দুলু, অমল কান্তি দাশ, সুরজিৎ দাশ, রফিক আহমেদ, মোজাম্মেল হোসেন, মোস্তফা কামাল, আবদুল লতিফ, দুলাল রায় সন্তান কমান্ডের যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান সজীব, সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য রিপন চৌধুরী, জয়রুদ্দিন জয়, ওয়াশিফুল হক কৌশিক ও মোঃ ফরিদ প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুৃক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোজাফফর আহমদ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা ও দুর্বৃত্তরা সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা-বিরোধীরাতারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুরসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছে। এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে, পদ্মা ব্রীজের টোল প্লাজা ও মেট্টোরেল স্টেশনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে অগ্নিসংযোগ করেছে। দেশে একের পর এক নৈরাজ্য ও তান্ডবের ঘটনায় কয়েকদিন পূর্বে সরকার জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা ও দুর্বৃত্তরা নগরীর দামপাড়াস্থ সিএমপি’র ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’র নামফলক ভাংচুর ও ওয়াসা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। দেশকে নিরাপদ রাখতে হলে এ ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু বলেন, সারাদেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ছাত্রদের আন্দোলন বহির্ভূত। যারা ছাত্র আন্দোলন করছেন তাদের কোন কর্মসূচী এটি নয়, এটি বিএনপি ও নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচী। এ কর্মসূচী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছে এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করছে। নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ ভাংচুর করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম স্বাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আড়ালে দেশকে অস্থিতিশীল করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সাথে বোরকা পরিহিত কিছু মহিলা জঙ্গী যোগ দিয়েছে। তাদেরকে দমন করতে হবে।