ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম থেকে শুরু মেইল-লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু, আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল ১৫ আগস্ট


রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়াও আগামী ১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর আগে এ রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। 

এদিকে গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যদ্রব্য ইয়ার্ড থেকে গতকাল ৯১ টিইউএস কন্টেনার পরিবহন করা হয়েছে। এখানে বর্তমানে ২৬৫১ টিইউএস কন্টেনার রয়েছে।  

এর আগে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ৩টি কন্টেনারবাহী ট্রেন ঢাকা কমলাপুর আইসিডির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ঢাকা ক্যান্টমেন্ট, রংপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী ও হাটহাজারীতে ৫টি তেলবাহী ওয়াগন (তেলের গাড়ি) ছেড়ে গেছে।  

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেইল, লোকাল, ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ৩টি কন্টেনারবাহী ট্রেন এবং ৫টি তেলবাহী ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামে স্টেশন ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাড়ে ৫ টায় নাজিরহাট লোকাল ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ঢাকা মেইল ট্রেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে। 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দোহাজারী ও হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২টি তেলের ওয়াগন ছেড়ে গেছে। সিজিপিওয়াই থেকে ৩টি তেলের ওয়াগন এবং ৩টি কন্টেনারবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে।

 মঙ্গলবার থেকে সকল মেইল, লোকাল, ও কমিউটার ট্রেন চলবে। সোমবার বিকাল ৫টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৫ আগস্ট থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।  

 কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।