ন্যাভিগেশন মেনু

চলে গেলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর


টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশপাশি এ খবর নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানামাও।

করোনাভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ৮ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। শনিবার থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপর ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে না ফেরার পথে পাড়ি দিলেন ভারতের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী।

লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্ডোরে শাস্ত্রীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব ও থিয়েটার শিল্পী পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ও শেবান্তির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একজন পেশাগত কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথমে মারাঠি ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন। ১৯৪৮ সালে মজবুর সিনেমায় প্রথম হিন্দি গান করেন।

তিনি ৩৫টিরও বেশি ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছিলেন। ৭৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লতা মঙ্গেশকর তার জাদুকরি কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।

লতা মঙ্গেশকর ভারতরত্ন, লতা মঙ্গেশকর ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার চারবার সেরা নারী প্লেব্যাক, ১৯৯৩ সালে আজীবন সম্মাননা এবং ১৯৯৪ ও ২০০৪ সালে দুইবার ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ১২ বার বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তাঁরা প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।