ন্যাভিগেশন মেনু

চাঁদপুরে ইলিশ নিয়ে তেলেসমাতি


কয়েকদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের জেলার নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় সেই ইলিশে ঠাসা এখন চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়ত। আড়তের পাকা মেঝেতে মাছের স্তূপ।কিন্তু সব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।

ঘাটের বড় ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান কালু জানিয়েছেন, ছোট-বড় বরফের বাক্সে ভর্তি, মাঝারি সাইজের শত শত টুকরিতে ভর্তি মাছঘাটের সব ইলিশই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার সুস্বাদু ইলিশ নয়।

এক মাছ ব্যবসায়ী ইলিশ নিয়ে প্রতারণার বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'এই আড়তে এখন প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ইলিশের কোনোটিই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার নয়।

 চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, হাতিয়াসহ সাগরবেষ্টিত মেঘনা বা ইলিশ আছে এমন নদী থেকে এসব মাছ আসে।

ওই ব্যবসায়ী আরো জানান, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। আর যা কিছু ধরা পড়ছে, তাও নদীর মধ্যেই অন্য পার্টি তথা ভাসমান ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন।

সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন প্রতিদিনই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, এমনকি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে ইলিশ কিনতে চাঁদপুর আসছেন শত শত ক্রেতা। কিন্তু প্রায় ৯০ ভাগ ব্যবসায়ীই ক্রেতাদের কাছে চাঁদপুরের ইলিশ বলে বাইরের ইলিশ বিক্রি করছেন।

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরো জানা যায়, সন্দ্বীপ-হাতিয়ার ইলিশের দামও অনেক। এই আড়াতে এক কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের ইলিশ ১২শ' থেকে ১৫শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ইলিশ গবেষক প্রতারণার বিষয়ে বলেন, এটি আইনি বিষয়, নৈতিকতার বিষয়।

জেলা মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, আগস্টের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ অঞ্চলের জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। কিন্তু জাটকা নিধন, ডুবোচর পড়া এবং নদীদূষণসহ নানা কারণে এবার পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না।


ওয়াই এ / এস এস