ন্যাভিগেশন মেনু

চাঁদাবাজদের উচ্ছেদ করলো পুলিশ


দীর্ঘদিন ধরে ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইলের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজদের একটি অংশ নীরব চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। এরা মানুষের কেনা জমিতে ভূয়া ও জাল দলিল সৃজন করে চাঁদাবাজি ও হয়রানীতে লিপ্ত ছিল।

সম্প্রতি ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যদের জন্য আবাসন প্রকল্পের জন্য কেনা ১৫ কাঠা জমিতে রাতের অন্ধকারে ছাপড়া ঘর তুলে রাখে। এভাবে এই আবাসন প্রকল্প থেকে তারা কৌশলে চাঁদা দাবী করে।

খবর পেয়ে আবাসন প্রকল্পের সিনিয়র সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জমিতে একটি ঘর দেখতে পান। পরে বিষয়টি র‌্যাব ও পুলিশকে জানানো হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে চাঁদাবাজরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এরপর এদের তান্ডবের বিষয়টি সরাসরি এলাকার মরহুম সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান সজলকে জানানো হয়। তিনি মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন।

এ অবস্থার মধ্যেই কথিত বুলবুলের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি চক্র ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কেনা জমিতে কাজ করার সময় শ্রমিকদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে আবাসন প্রকল্পের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাধা দেবার বিষয়টি সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ করেন।

পরে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ এবং র‌্যাবকে জানানো হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাঁদাবাজদের তোলা ছাপড়া ঘর উচ্ছেদ করেন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন  এলাকার মরহুম সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে এবং ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মশিউর রহমান সজল।

তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মরহুম পিতা এলাকার সন্ত্রাস, চাদাবাজি ও মাদকের বিরদ্ধে সক্রিয় আবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি এসব পছন্দ করতেন না। আমিও এসব অপরাধীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করব। এ অঞ্চলে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী থাকতে পারবে না। আমরা এলাকার সব শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে শান্তিপ্রিয় একটি এলাকা উপহার দিয়ে যেতে চাই। গণমাধ্যমকর্মীরা এ এলাকায় আবাসন প্রকল্প নিয়েছে জেনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। এই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আপনারা আমার পাশে থাকবেন বলে আশা করি।’

এমআইআর/ এডিবি