ন্যাভিগেশন মেনু

চাঁদের অন্ধকার দিকে আলো ফেলতে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ২


১৩০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন নিয়ে চাঁদমামার দেশের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ২। সোমবার, কাউন্টডাউন শেষে ঠিক ২.৪৩ মিনিটে উড়ান ভরে ‘বাহুবলী’।

সিনেমার চরিত্র নয়, বাহুবলী জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটের নাম। ইসরোর ওই রকেটে চেপেই চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য উদঘাটনের জন্য রওনা দিল চন্দ্রযান ২।

ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর চারদিকে ঘুরপাক খেয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে চন্দ্রযান ২। পূর্ব নির্ধারিত সময়মতোই আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ ‘লুনার সারফেস’ বা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে যানটি। তবে জ্বালানি লিকের দরুণ প্রথমবার বা ১৫ জুলাই-র উৎক্ষেপণ বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্ত প্রক্রিয়ায় কিছু রদবদল করছেন বিজ্ঞানীরা।

সেবারে উৎক্ষেপণ থেকে অবতরণ পর্যন্ত ৫৪ দিন সময় ধার্য করা ছিল। যার মধ্যে ২২ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে (আর্থ অরবিট) ঘুরপাক খেত চন্দ্রযান। পরবর্তী ২৮ দিন চাঁদের কক্ষপথে (লুনার অরবিট) ঘোরার কথা ছিল যানটির।

শেষের ৪ দিন চাঁদের ‘লোয়ার অ্যাটমোস্ফিয়ারে’ গতি কমিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর জমিতে অবতরণ করত চন্দ্রযান কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ‘লুনার অরবিটের’ সময় কমিয়ে ২০ দিন করা হয়েছে। ফলে এবার সমগ্র অভিযানের সময়সীমা দাঁড়িয়েছে ৪৬ দিন।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, চাঁদের মাটিতে সৃষ্টির আদি সময়ের ফসিল অবিকৃত অবস্থায় থাকতে পারে। তবে সর্বত্র নয় অবশ্যই। চাঁদের যেসব জায়গায় সূর্যবিমুখ, শুধু সেইখানেই থাকার সম্ভাবনা।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যেহেতু বেশ কিছু এলাকায় সূর্যরশ্মি সরাসরি এসে পড়ে না, তাই সূর্যের বিকিরণগত পরিবর্তনও সেখানে কম হওয়ার সম্ভাবনা। আর তাতেই ফসিল অবিকৃত থাকবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আর চন্দ্রযান ২-এর অভিযাত্রী যান ‘প্রজ্ঞান’ আধুনিক প্রযুক্তি মারফত খুঁজে বার করবে সেই তথ্যই। অন্তত এমনই আশায় ৮৫১ কোটি টাকার এই প্রকল্প পরিকল্পনা করেছে ইসরো। সেইসঙ্গে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ১ যে জলকণার সন্ধান পেয়েছিল, তা নিয়ে আরও বিশদ গবেষণা করবে চন্দ্রযান

এর মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফের অস্তিত্ব সন্ধানের চেষ্টা যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও রাসায়নিক খুঁজে বের করার চেষ্টাও। সেইসঙ্গে চাঁদের মাটিতে বিশেষ গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খুঁড়ে তার তাপমাত্রা, কম্পনের প্রক্রিয়াও জানার চেষ্টা করবে ‘প্রজ্ঞান’। আর এই সবকিছুই হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে।   


এসএস