ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে পৌঁছেনি ওএমএসের আটা


পাবনার চাটমোহরে কঠোর লকডাউনে রবিবার (২৫ জুলাই) থেকে নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধার্থে ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রির) চাল ও আটা বিক্রির কথা থাকলেও পৌঁছেনি আটা।

শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় পৌরশহরে চাল ও আটা বিক্রির মাইকিং করা হয়। তবে রবিবার আটা না পেয়ে অনেকেই খালি হাতে বাসায় ফিরেছেন।

জানা গেছে, চাটমোহর পৌরশহরের শালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরবিটল লিংক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, থানা বাজার (আটচালা) ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪টি স্থানে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ চারটি বিক্রয় কেন্দ্রে শুধু চাল বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটার মূল্য ১৮ টাকা নির্ধারণ হয়। চারজন ডিলার প্রতিদিন ৬ টন চাল এবং ৪ টন আটা বিক্রি করবেন। যে কেউ নির্ধারিত স্থান থেকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন।

সুবিধাভোগীরা জানান, অপেক্ষাকৃত কম দামে চাল পেয়ে এই দুঃসময়ে তারা উপকৃত হবেন। তবে আটা না পেয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ডিলার মোকতার হোসেন শামসু জানান, 'আমরা খোলা বাজারে চাল বিক্রিতে খুব একটা সারা পাচ্ছি না। আটা এখনো চাটমোহরে না পৌঁছায় অনেকে আটা কিনতে এসে ফিরে গেছেন। চাল ও আটার দাম কিছুটা কম হলে বেশি মানুষ এ সুবিধা ভোগ করতে পারতো।'

অপর ডিলার খন্দকার আল আমীন জানান, 'আটার চাহিদা বেশি হওয়া সত্তেও রবিবার কাউকে আটা দিতে পারিনি।'

এ ব্যাপারে চাটমোহরে কর্মরত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শরিফুল ইসলাম জানান, 'খাদ্যগুদামে আটা সংরক্ষণ থাকে না। পাবনার মিল থেকে আটা আনতে হচ্ছে। তারা যথাসময়ে সরবরাহ করতে না পারায় রবিবার আটা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। সোমবার (২৬ জুলাই) থেকে চালের পাশাপাশি আটাও বিক্রি করা হবে।'

আইকেআর/সিবি/এডিবি/