ন্যাভিগেশন মেনু

চা বিক্রির টাকায় চলে রফিক সোনামুনি পাঠশালা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের ঠাকুর পলশায় অবস্থিত রফিক সোনামুনি পাঠশালা। এ পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম। পেশায় তিনি চা বিক্রেতা। চা বিক্রি করে স্বল্প আয় থেকেই চলে রফিক সোনামুনি পাঠশালা।

রফিক সোনামুনি পাঠশালাটি স্থাপিত হয় ২০১০ সালে চা বিক্রেতা রফিকের হাতধরে।

এ পাঠশালায় ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু আছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছে মোঃ ফরমান আলী। রওশন আরা, শামশুন নাহার, মেঘলা পান্ডে, মোসাঃ ফাহমিদা খাতুন, নুর আক্তার জাহানসহ মোট পাঁচজন সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োজিত আছে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেনীতে ২৯জন, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ২৬ জন, তৃতীয় শ্রেনীতে ৩০ জন, ৪র্থ শ্রেনীতে ২৮ জন, ৫ম শ্রেনীতে ২২জন মোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানায়, রফিকের পাঠশালাটি স্থানীয়দের মাঝে শিক্ষার জন্য টনক নড়িয়েছে।

পাঠশালার উপদেষ্টা জারিফ হোসেন বলেন, পাঠশালাটি এখন প্রতিষ্ঠাতা রফিকের চা বিক্রির টাকায় চলে। সরকারের সুনজর পড়লে স্কুলটি হবে সরকারি। তাহলে চা দোকানী রফিকুলের উদ্যোগ চলমান থাকবে। এখানে স্থানীয় বাসিন্দারাও শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।

ঝিলিম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও পাঠশালার সভাপতি রাশিদুল হক জানান, 'গ্রামাঞ্চলে অনেক বাসিন্দা আছে যারা এখনো শিক্ষার্জনের জন্য বিদ্যালয়ে যায়নি। তাদের কথা ভেবে রফিক সোনামুনি পাঠশালা নামে স্কুলটির পথচলা শুরু হয়। এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।'

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ঠাকুর পলশা এলাকাজুড়ে ৬ কিলোমিটারের মধ্য রফিক সোনামুনি পাঠশালা অবস্থিত। চা বিক্রি করে স্কুলটি পরিচালনা করা বড়ই কষ্টকর। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমার সোনামুনি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে স্কুলটি সরকারিকরণ করেন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তাসেম উদ্দিন, সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মুনিরা রহমান স্কুলটি পরিদর্শন করেন।

জে এইচ/ এস এ/এডিবি