ন্যাভিগেশন মেনু

চিকিৎসকদের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স অন হাইপারটেনশান


জরিপে দেখা গেছে সারা পৃথিবীতে  উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগীর সংখ্যা ১.১৩ বিলিয়ন। বলা হচ্ছে প্রতিবছর বিশ্বে ১০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয় উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে। বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক শতকরা ২৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। আর প্রৌঢ়দের শতকরা ৪০ থেকে ৬৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপের রোগী।

উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগ দেশে এবং বিশ্বে যখন এমন ভয়াবহ তখনই হাইপারটেনশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে শুরু  করলো উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার উপর চিকিৎসকদের একটি সার্টিফিকেট কোর্স। 

গত ২৮ জুলাই রাত ৮টায় ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্মে সার্টিফিকেট কোর্স অন হাইপারটেনশান কোর্সটির শুভ উদ্বোধন করেন  নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী জনার এম এ কাসেম।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হাইপারটেশান ও রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডাঃ জাকির হোসেন কো-সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাঃ রামিম ইবনে নূর।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক সরোয়ার জাহান সকল চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের এই কোর্স সম্বন্ধে অভিহিত করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডাঃ এম এ জলিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ডঃ এজাজ মামুন, অধ্যাপক ডাঃ মাহফুজ রহমান, ডঃ হাসান মাহমুদ ও অধ্যাপক   আহমেদ হোসেইন। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব এম এ কাসেম উচ্চ রক্তচাপ রোধ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে অগ্রনী ভূমিকা রাখার জন্য হাইপারটেশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন - নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা প্রসারে হাইপারটেশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সাথে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করবে। 

তিনি বলেন, এই কোর্সটি উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনায় তরুন চিকিৎসকদের আরও দক্ষ করে তুলবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগের মানসম্মত  চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষনার উপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও হাইপারটেনশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কোলাবারেটিভ গবেষনার সুযোগকে আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি উপচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে  নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন এবং বলেন যৌথ পরিচালনায় সার্টিফিকেট কোর্স অন হাইপারটেনশান উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। 

অনুষ্ঠানের কো-সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন তার বক্তব্যে হাইপারটেনশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, কোর্সটির প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ রোধে সামাজিক আন্দোলনকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এর জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

অধ্যাপক এম এ জলিল তার বক্তব্যে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বাংলাদেশে সর্বত্র হাইপারটেশান সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগের ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনীয়তার প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। 

অধ্যাপক এম এ ওয়াদুদ চৌধুরী উচ্চ রক্তচাপ রোগের ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে নবীন চিকিৎসকদের আধুনিক এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের নতুন নতুন জ্ঞানে আগ্রহী ও সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য কোর্সে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান। 

ডঃ এজাজ মামুন বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গবেষনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এজন্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও হাইপারটেনশান সেন্টারকে যৌথভাবে কোর্স পরিচালনার মতো করে গবেষণা পরিচালনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। 

তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গবেষণালব্ধ ফল দেশের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারনে ভূমিকা পালন করবে। 

অধ্যাপক ডাঃ মাহফুজ রহমান ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকল সুধীজন, কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী চিকিৎসক, এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও হাইপারটেশান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অন্যান্য বক্তারা উচ্চ রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব, কোর্সটির বিভিন্ন দিক, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গবেষণা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোকপাত করেন। বক্তারা এই কোর্সটির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

এডিবি/