ন্যাভিগেশন মেনু

চিনা জনসাধারণের রঙিন ও সুখী জীবন


শিয়ে নান আকাশ

২০২০ সালে নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, চিনে সার্বিকভাবে স্বচ্ছল সমাজ র্নিমাণ ও দারিদ্র্যবিমোচনের কাজ সম্পন্ন হবে। সিপিসির নেতৃত্বে সমাজের সব খাত একযোগে কাজ করে আসছে, দেশের দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে বিপুল পরিবর্তন এসেছে।

দেশের হ্য নান প্রদেশের চু মা তিয়ান শহরের অনেক পুরাতন কমিউনিটিতে সুন্দর বসবাসের পরিবেশ এবং এখানে নানান ধরনের রঙিন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন হয়ে থাকে। এতে কমিউনিটির প্রত্যেক অধিবাসীর হাসিমুখে সুখের অনুভূতি ফুটে ওঠে।

চমত্কার সুন্দর সুরে মাডাম উ লিলি তার বান্ধবীদের নিয়ে একযোগে নাচ করেন। এটি হচ্ছে চু মা তিয়ান শহরের আর চুয়ান কমিউনিটির একটি সাধারণ সকাল। এ এলাকায় অনেক পুরাতন কমিউনিটি রয়েছে। এখানকার রাস্তা বেশি চওড়া নয়; প্রতিটি ভবনের মাঝখানে ফাঁকা জায়গাও কম। কিন্তু উ লিলি ও তাঁর সৌখিন নাচদলের তুলনামূলকভাবে একটি বড় স্পেস আছে নাচের জন্য। তাদের কমিউনিটি এই জায়গাটি বরাদ্দ দিয়েছে। উ লিলি বলেন, কয়েক বছর আগে অবস্থা এরকম ছিল না। তিনি বলেন, “বাইরে সব জায়গায় দোকানপাটে ভর্তি। সাইকেল চালানো অসম্ভব; এমন কি, হাঁটাহাঁটি করাও মুশকিল। বৃষ্টি হলে আমাদের জুতা কাদাময় হয়ে যেতো। রাস্তার স্টলে স্ন্যাকস্‌ বিক্রি হতো। অনেকে উচ্ছিষ্ট রাস্তায় ফেলতো। চারিদিকে অনেক নোংরা ও দুর্গন্ধ ছিল।”

২০১৬ সালে সিইয়ান নেইবারহুড কমিটি অফিস প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ করে এলাকার রাস্তাসহ পরিবেশের উন্নয়ন ঘটায়। পরিবেশের উন্নতির পর, কমিউনিটির সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে কিভাবে বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়, তা ছিল দ্বিতীয় প্রশ্ন।

সিইয়ান নেইবারহুড কমিটি অফিস সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা সংশ্লিষ্ট পেশাদার সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞদের কমিউনিটির সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানায়। জনাব লিউ চিয়ান খাং হচ্ছে চু মা তিয়ান শহরের লেখক সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কমিউনিটি হচ্ছে তার বসবাসের জায়গা। লেখার বিষয়বস্তুও তিনি কমিউনিটি থেকেই নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি জনতার মধ্যে প্রচার করা। কমিউনিটির অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা উন্নত করা আসল স্বচ্ছল জীবনের প্রতীক বলে আমরা মনে করি।”

উলিলি প্রতি সপ্তাহে কমিউনিটির উদ্যোগে লেকচার শো-তে অংশগ্রহণ করেন। দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, কমিউনিটির নতুন নতুন পরিকল্পনা, কোনো একটি ভালো বইয়ের খবর ইত্যাদি সবকিছু কমিউনিটি লেকচারে ঠাঁই পায়। নিজের কমিউনিটি নিয়ে তিনি অনেক সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “খাওয়াদাওয়া বা পোষাক নিয়ে আমার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কমিউনিটি আমাদের জন্য পেশাদার সঙ্গীত-শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছে। তা-ও আবার ফ্রি তথা বিনামূল্যে। আমার ধারণা, এ কয়েক বছরে, ক্রমে ক্রমে কমিউনিটি আরও বেশি ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে, এবারের কোভিড-১৯ মহামারীতে, আমাদের কমিউনিটিতে কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি; আমাদের এলাকায়ও কেউ আক্রান্ত হয়নি।”

শিয়ে নান আকাশ চায়না মিডিয়া গ্রুপের একজন কর্মী