ন্যাভিগেশন মেনু

চিনের দারিদ্র্য বিমোচনের অভিজ্ঞতা, বিশ্বের কাছে যে অর্থ বহন করে!


ইয়ে ফ্যান

এ বছরের শুরুর দিকে চিন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি "সম্পূর্ণ বিজয়" অর্জন করেছে বলে ঘোষণা করেছিল। দেশটির জনগণের কাছে এটি কত বড় অর্থ বহন করে, তা নির্ধারণে প্রচেষ্টারত যে কোনও ব্যক্তির জন্য এই দীর্ঘস্থায়ী চরম দারিদ্র্য জনগণের প্রতি কী করেছিল, সেদিকে দৃষ্টিপাত করলে তা বেশ স্পষ্ট হবে।

এইতো সেদিন মাত্র ৩০ বছর আগে, চিনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মরুভূমিতে ঢাকা গ্রামগুলোতে একই পরিবারের ভাইদের জন্য একজোড়া প্যান্ট ভাগাভাগি করে পরিধান করা অস্বাভাবিক ছিলনা। সেখানে কিছু গ্রামবাসী মাটির গুহার ভিতরে বাস করতেন এবং পাথরের বিছানায় ঘুমাতেন। যুবতী নারীরা একটি গাধার মূল্য পরিমাণ যৌতুকের বিনিময়ে পরিবারের পছন্দে বিয়ে করতেন। যদিও বিশ্বাস করা কঠিন, তবে জাতিসংঘ কর্তৃক "মানববসতির জন্য অন্যতম অনুপযুক্ত জায়গা" হিসেবে বিবেচিত শিহাইগুতে এটিই ছিল চরম বাস্তবতা।

চিনে কেবলমাত্র শিহাইগুই অবমাননাকর দারিদ্র্য দ্বারা জর্জরিত ছিল না। ২০১৬ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের একটি স্থানীয় প্রশাসনিক এলাকা লিয়াংশানে একটি লতার মইয়ে বাচ্চাদের খালি হাতে খাড়া উঁচু পাহাড়ে বেয়ে উঠা ছবিগুলো পুরো জাতির হৃদয়কে নাড়া দিয়েছিল। এটিই ছিলো তাঁদের পাহাড়ি গ্রামকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত নিকটতম বিদ্যালয় এবং বাইরের দুনিয়ার সাথে সংযোগকারী একমাত্র পথ। ২০১২ সালেও শিহাইগুও লিয়াংশানের মতোই অবস্থা ছিলো চিনের আরও ৮৩২টি কাউন্টি এবং ১২৮,০০০টি গ্রামের। এগুলোর সবই দেশব্যাপী দারিদ্র্য-বিরোধী অভিযানের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্য হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

চরম দারিদ্র্যের অবসান ঘটানোর ব্যাপকতা ছিলো অকল্পনীয়। তাই অপ্রত্যাশিতভাবেও নয় বরং স্বাভাবিকভাবেই চিন যখন চরম দারিদ্র্যের অবসান ঘটানোর ঘোষণা করেছিল, তখন এই সংবাদটি কয়েকটি মহলে সূক্ষ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি করেছিল। পরিসংখ্যানগুলোর নির্ভরযোগ্যতা, দারিদ্র্যের মানের পর্যাপ্ততা এবং প্রচেষ্টার ব্যয়-কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। এই প্রশ্নগুলোর প্রতি পর্যায়ক্রমে দৃষ্টিপাত করা যাক।

কে উপকৃত হয়েছে?

চিনের রাষ্ট্রপতি শিজিনপিং এর মতে, তার শাসনামলে অর্থাৎ গত আট বছরে ৯৮.৯৯ মিলিয়ন গ্রামীণ অধিবাসীকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা হয়েছে। এর ফলে, গত চার দশকে দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসা চিনা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭০ মিলিয়ন, যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনের ৭০ শতাংশেরও বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, চিন নির্ধারিত সময়ের দশ বছর আগেই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বা ২০৩০ এজেন্ডার দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উল্লেখ করেন, "আমাদের এই সত্যটি ভুলে যাওয়া উচিত হবেনা যে,  বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নেতৃবৃন্দও এ সফলতার জন্য চিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এই পদক্ষেপের তত্ত্বাবধানকারী সরকারী সংস্থার পরিচালক লিউইয়ংফু গত বছর সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, বছরে চরম দারিদ্র্যের সীমার আয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪,০০০ আরএমবি (ইউয়ান) অর্থাৎ ৬২৮ ডলার। লিউ এর মতানুসারে, বিশ্বব্যাংকের একদিনের ১.৯ ডলার বেঞ্চমার্কের উপরে এটি ছিল প্যাকেজের একমাত্র অংশ। সরকার যথাযথ খাদ্য ও পোশাক, নিরাপদ আবাসন, শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবারও নিশ্চয়তা দিয়েছিল।

চিনের দারিদ্র্য বিমোচনের অভিজ্ঞতা নিজ দেশের জনগণকে লাভবান করা ছাড়াও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিশেষত প্রতিবেশী দেশগুলোকে সহায়তা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, চিন ২০০৭ সালে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার জন্য দারিদ্র্যনীতি ও অনুশীলন বিষয়ক এক সেমিনার আয়োজন করেছিল। দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের পাশাপাশি চিন-সার্ক কাঠামোর অধীনে উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনুরূপ মতবিনিময় ও প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল উপজাতীয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রদর্শনী, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর ও বিদ্যালয় নির্মাণ, কারিগরি ও কৃষিপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ইত্যাদি।

কীভাবে এটি কাজ করেছে?

চিনের দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্যকে এলইএপি কৌশলের (অর্থাৎ নেতৃত্ব, ক্ষমতায়ন, সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং যুক্ত সহায়তা) মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আশা করা যায় যে, উক্ত কৌশলের কিছু উপাদান অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে “সকল ধরনের দারিদ্র্যের অবসান ঘটানোর" টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

প্রথমত: নেতৃত্ব

চিনা ব্যবস্থা যার জন্য সর্বাধিক সুপরিচিত তা হলো নেতৃত্ব, আর  “লক্ষ্য নির্ধারিত দারিদ্র্য বিমোচনের” সেই লক্ষ্য অর্জনে একত্রিতকরণ ও কার্য সম্পাদন ক্ষমতা ব্যতীত এত বৃহৎ আকারের একটি অভিযান সম্ভব হতো না। দৃঢ় নেতৃত্ব এটির সফল বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি। ২০১৭ সালে, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)’র নেতৃত্ব দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে "যুদ্ধ" ঘোষণা করেছিল। দলীয় কর্মকর্তাদের কাছে এটি ব্যাপকভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছিলো যে তাঁদের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের এবং জরুরি প্রয়োজনীয়তার সাথে নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে “কেউ পিছিয়ে থাকবে না” এবং একই সাথে কর্মকর্তাদেরও প্রতারণামূলক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছাড়াও রাষ্ট্রপতি শি বিভিন্ন গ্রাম এবং গোষ্ঠীর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট সমাধানের দাবিতে “লক্ষ্য নির্ধারিত দারিদ্র্য বিমোচনের” ডাকও দিয়েছিলেন। এই কৌশলটি সহজ এবং সবার জন্য উপযুক্ত এক সমাধান, যা চিনের মতো বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে অপচয় এবং বিরোধের সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছুকে পরিহার করে এগিয়েছিলো।

দ্বিতীয়ত: ক্ষমতায়ন

যেমনটি চিনা প্রবাদে রয়েছে, "কেবল মানুষকে মাছ দেওয়ার চেয়ে কীভাবে মাছ ধরতে হয় তা শেখানো বেশী ভালো।" এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, প্রশিক্ষণের পরিবর্তে সহায়তা পেয়ে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়া লোকেরা সাহায্য প্রত্যাহারের পরপরেই শীঘ্রই আবার দারিদ্র্যের অবস্থায় ফিরে আসবে।

লিয়াং শানের ক্ষেত্রে, তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের নগরীতে চাকরি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে তাদের দক্ষতা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। কৃষি বিশেষজ্ঞদেরকে নগদ ফসলের উৎপাদন কিভাবে করতে হওয়া তা শেখাতে পাঠানো হয়েছিলো। যে কৃষকদের খাবারের জন্য কেবলমাত্র ছোট আলু ছিল, তাঁরা আজ  জৈব স্ট্রবেরির রোপণকারী হয়ে উঠেছে, যা তাঁদেরকে এক বছরে মাথাপিছু ২০,০০০ ইউয়ানেরও (৩,১৪০ডলার) বেশী আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে।

তৃতীয়ত:সর্ব-ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ

সবচেয়ে লক্ষণীয় যা ছিল তা হলো এই অভিযানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানবসম্পদ। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়েক মিলিয়ন স্থানীয় কর্মকর্তার সাথে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে ৩ মিলিয়ন উদ্যমী দলীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে ২৫৫,০০০ এরও বেশি দলে ভাগ করে পাঠানো হয়েছিল। গ্রামগুলো "দারিদ্র্য-মুক্ত" ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরকে স্বীয় পদে থাকতে বলা হয়েছিল। তাঁদের অনেককেই পরবর্তীতে জাতীয় সম্মাননার সাথে পদোন্নতি বা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

সরকার এই উদ্যোগটিতে ১.৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (২৫১ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করেছে, যা ২০২০ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জিডিপির প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ। তথাপি, দারিদ্র্য বিমোচন সরকারের একার কাজ হওয়া উচিত নয় এবং হতে পারেও না। চিনের কর্পোরেট খাত দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানেরও (১৫৭ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করেছিল। ভগ্নপ্রায় আবাসনগুলোকে পুনর্নির্মাণের জন্য, গ্রামের রাস্তাগুলোর জন্য কাজ করতে তহবিল গঠন বা কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে এমন সুবিধাসম্পন্ন দোকান স্থাপনের জন্য অনেক কোম্পানিকে অনুদান দিয়েছে। বিনিময়ে তারা কী পেল? কৃতজ্ঞতা এবং লক্ষ লক্ষ সম্ভাব্য গ্রাহক।

চতুর্থত: যুক্ত সহায়তা

চিনের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে সমৃদ্ধ প্রদেশ এবং শহরগুলির অভ্যন্তরের দরিদ্র লোকদের সহায়তা করতে জুটিবদ্ধভাবে এগিয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ান উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নিংশিয়ার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে, যার মধ্যে শিহাইগু একটি অংশ। নব্বইয়ের দশকে ফুজিয়ানে দলের উপসম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি শিহাইগুতে গ্রামবাসীদের কীভাবে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করতে নিংশিয়া সফর করেছিলেন। সরকারের ব্যয়ে পরিচালিত গ্রামবাসীদের আরও বসবাসযোগ্য স্থানগুলোতে স্থানান্তরিত করতে সেই মুহূর্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

মিন-নিং, রাষ্ট্রপতি শি যার নামকরণ করেছেন। মিন (ফুজিয়ানের আরেক নাম) এবং নিং (নিংশিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ) এর সংমিশ্রণে হলো মিন-নিং, যা সেই সময় থেকে খামার বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সমৃদ্ধ হয়েছে। যারা স্থানীয়দের আঙুর, উলফবেরি, রাসবেরি উৎপাদন শেখানো এবং তাঁদেরকে ওয়াইনের ব্যবসা শুরু করতে, উৎসাহ জোগাতে দেশের অর্ধেক সফর করেছেন। তাঁদের সম্পদহীন থেকে সম্পদশালী হবার গল্প নিয়ে একটি নাট্যসিরিজ নির্মাণ করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে এ বছরের শুরুরতে প্রচার করাও হয়েছে। এটি তরুণ, বৃদ্ধসহ সকল দর্শকের কাছে ততক্ষণাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং যা রেটিং ১০ এর মধ্যে ৯.৪ লাভ করে।

এরপর কী?

চিন যা অর্জন করেছে তাতে তার গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, তবে যুদ্ধ শেষ হয়নি। এইরূপ প্রতিশ্রুতি পালনের মাধ্যমে, সিপিসি প্রত্যাশাগুলোকে বৃদ্ধি করেই চলেছে। বর্তমানে লিয়াংশান এবং শিহাইগুর লোকেরা পর্যাপ্ত প্যান্ট রয়েছে কিনা, রাতের খাবারের টেবিলে কী রাখবেন তা নিয়ে আর চিন্তিত হন না। তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের জন্য উন্নততর শিক্ষা, আরও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা এবং আরও অধিক আরামদায়ক নার্সিং হোম চান। ১লা জুলাই সিপিসি’র শতবর্ষ উদযাপন করার সাথে সাথে সকল চিনা জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে এবং কয়েক শত লক্ষ জনগণকে মধ্যম আয়ের অবস্থানে উন্নীত করার জন্য আরও একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করতে হবে।

চিন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সবার উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের একে অপরকে অনেক কিছুই দেওয়ার এবং ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অবদান রাখার আছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল বৈঠকে পারস্পরিক সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলন ভাগাভাগির জন্য চিন-দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের সহযোগিতা কেন্দ্র তৈরি করার জন্য একমত হয়েছেন। চিন গ্রামীণ দারিদ্র হ্রাস এবং কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাণিজ্যের ভূমিকার বিষয়ে একটি ফোরামের আয়োজন করবে। পৃথিবী যখন একটি উন্নতর ও সমন্বিত ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কাউকেই পিছনে ফেলে রাখা যাবে না। চিন হলো দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক অংশীদার এবং এখানে অনেক কিছুই রয়েছে যা একসাথে অর্জন করা সম্ভব।

লেখক: বেইজিং-ভিত্তিক সমসাময়িক ঘটনাবলীর একজন বিশ্লেষক।