ন্যাভিগেশন মেনু

চিরনিদ্রায় শায়িত ক্যাপ্টেন নওশাদ


বনানী কবরস্থানে মা ও তার বোনের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দফতর বলাকায় তার জানাজা পড়ানো হয়।

জানাযায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ তার নিকটাত্মীয়। এতে ইমামতি করেন বলাকা মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা কাইয়ুম।

তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (বিজি-০২৬) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

নওশাদের মরদেহ বিমান থেকে নামানোর পর পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও শ্রদ্ধা জানান সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ওরফে মিশুর বাবা ও মা আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তার সহধর্মিনী ও দুই সন্তান রয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং কিছু জটিলতায় দেশে এসে নওশাদের দাফন কাজে অংশ নিতে পারেননি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তবে তিনি অসুস্থ হলে নওশাদের দুই বোন ভারতে গিয়ে পৌঁছান। নওশাদের মরদেহের সঙ্গে তারাও আজ ঢাকায় এসেছেন।

এর আগে সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গত ২৭ আগস্ট ওমানের মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে ‘বিজি ০২২’ ফ্লাইটের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম ভারতের রায়পুরের আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা নিকটতম নাগপুরে অবস্থিত ‘ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে’ অবতরণের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি জরুরি অবতরণ করানো হয়।

পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া পাইলটকে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ওআ/