ন্যাভিগেশন মেনু

চীনের মেইহুয়োখো শহরে অন্যরকম এক বৃদ্ধাশ্রম


হাবিবুর রহমান অভি: দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি বৃদ্ধাশ্রমের ভেততের চিত্র। মধ্যবয়সী কিছু নারী সাজগোজ করে সময়টাকে নিজেদের মতো করে পার করছেন। এ রকম আরও কিছু চমৎকার আয়োজনে গড়ে তোলা হয়েছে ওল্ডহোম বা বৃদ্ধাশ্রম।

প্রচলিত বৃদ্ধাশ্রম ধারণার বাইরে গিয়ে আধুনিক ওল্ডহোম নির্মাণে মনোযোগ দিয়েছে চীন সরকার। যেখানে ডে-কেয়ারের সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কয়েক লাখ বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ।

এটি প্রচলিত বৃদ্ধাশ্রমের মতো নয়। যেখানে বছরের পর বছর বাবা-মাকে কাটাতে হয় বাড়ির বাইরে বৃদ্ধাশ্রমে। চীনের এসব ওল্ডহোম অনেকটা ডে-কেয়ারের মতো। খুব ভোরে বাসে চড়ে বৃদ্ধাশ্রমে আসেন তারা । দিনের শুরু সকালের নাস্তা আর পত্রিকা পড়ার মধ্যদিয়ে। আছে খেলাধূলার ব্যবস্থাও। 

আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে চীনের জিলিন প্রদেশের মেইহুয়োখো শহরে গড়ে তোলা এরকম বৃদ্ধাশ্রম। জীবনের শেষ সময়টুকু যেনো আনন্দে কাটানো যায়, সেজন্য বেশ কিছু দারুণ আর অভিনব উদ্যোগ নিয়ে চীনা সরকার।

মেইহুয়োখো সিটির বাসিন্দা চিয়াং চিয়েইং যিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ওল্ডহোমে রয়েছেন। তিনি বলছিলেন কিভাবে তার সময় কেটে যায়।

 তিনি বলছিলেন, “আমার সন্তানরা কাজের জন্য সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আমি একা হয়ে যাই। আমিও তখন ওল্ডহোমে চলে আসি। এটা দারুণ এক জায়গা। এখানকার খাবার খুবই সুস্বাদু আর পুষ্টিকর। আমি খুব মজা করে খাই। আমাকে নিয়ে সন্তানদের কোন চিন্তা করতে হয় না।”

ছবি: চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন চিয়াং চিয়েইং নামের ওল্ডহোমের এক বয়স্ক নাগরিকের।

পরিসংখ্যান বলছে, ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে মেইহুয়োখো শহরে। তাই অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত ধাঁচে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদন ব্যবস্থা। নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক মানের আরও ১০০টি ক্যান্টিন। যেখানে একসঙ্গে খেতে পারবেন কয়েক লাখ বয়স্ক মানুষ। 

আধ্যাত্মিক জীবনকে উন্নত রাখতে হাতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছ কর্মসূচি। যেখানে গুরত্ব পাচ্ছে চীনের সংস্কৃতি আর ভালো থাকার প্রাচীন সব জনপ্রিয় পদ্ধতি।

এডিবি/