ন্যাভিগেশন মেনু

চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায় ফিলিপিাইন

সিএমজির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস


গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রথম চীন সফর করেন। সে সময় থেকে তিনি চীন-ফিলিপাইন সম্পর্কোন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে আসছেন। তিনি হচ্ছেন চীন-ফিলিপাইন মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা, সমর্থক এবং পৃষ্ঠপোষক। সম্প্রতি তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপকে (সিএমজি) একটি একান্ত সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।

সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হলো ১৯৭৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে চীনের ব্যাপক অগ্রগতি দেখা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও এর নতৃবৃন্দ চীনকে পরিবর্তন করেছেন। ফিলিপাইন চীনের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে এবং এমনকি তাতে অংশও নিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন বিষয়ে আদান-প্রদান জোরদার হয়েছে। ফিলিপাইন-চীন সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের গতি আর শিথিল হবে না।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রাক্কালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র সঙ্গে বৈঠক করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। তখন সি চিন পিং বলেছেন, চীন বরাবরই কৌশলগত অবস্থান থেকে দু’দেশের সম্পর্ককে দেখে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁর দেশ চীনের সঙ্গে সম্ভাবনা সৃষ্টি, অবকাঠামো সম্প্রসারণ, জ্বালানি, কৃষি ও সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার এবং আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

ওই বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য প্রসঙ্গে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, চীনসহ বিশ্বের সব দেশ মহামারি থেকে প্রায় বের হয়ে এসেছে। মহামারি-উত্তর যুগে চীন, ফিলিপাইন ও অন্যান্য দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক বিশ্ব স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক হবে।

বৈঠকটি দু’দেশের সম্পর্ক জোরদারে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে দু’দেশের মতভেদ থাকা সত্ত্বেও পরস্পরকে ভালো বন্ধু হিসেবে গণ্য করে চীন ও ফিলিপাইন। ভালো বন্ধু’র মধ্যে মতভেদ থাকেই। তবে, ভালো বন্ধু বন্ধুত্বপূর্ণ ও সমতাসম্পন্ন বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চালায়। - সূত্র: সিএমজি