যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দে এবার সমস্ত কারখানা ভারতে সরিয়ে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
সবে শেষ হয়েছে ভারতে সাধারণ নির্বাচন। এবার নতুন সরকার গঠনের পালা। নতুন সরকার গঠনের পর, প্রায় ২০০টি মার্কিন সংস্থা এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে।
এ কথা জানিয়েছে, শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান গোষ্ঠী ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরাম (ইউএসআইএসপিএফ)।
মূলত চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদনের মূল ঘাঁটি ছিলো। কিন্তু নানা টানাপোড়েনের জেরে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউএসআইএসপিএফ প্রেসিডেন্ট মুকেশ আঘি জানিয়েছেন ভারতে কীভাবে লগ্নি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কীভাবে মার্কিন সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করা যায়, তার নতুন নতুন উপায় ভাবতে হবে। জমি, শুল্ক সমস্যা মিটিয়ে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য আনার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। তাতে যেমন লগ্নি আসবে, তেমনই বহু কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি আরো বলেন, ইউএসআইএসপিএফ-এর সদস্য সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মার্ক লিনস্কট। ভারত রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) করার জন্য তাঁরা প্রস্তাব দেবেন।
তিনি মনে করেন মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতের বাজারের সুবিধা পাবে। এছাড়া ভারতীয় সংস্থাগুলিও আরও বেশি করে আমেরিকার বাজারে ঢুকতে পারবে। তখন জিএসপি (গরিব দেশকে দেওয়া আমেরিকার বাণিজ্যিক সুবিধা বা জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স) নিয়ে আর কোনও বিতর্ক থাকবে না।
আঘি জানান, ইউএসআইএসপিএফ কমিটির সুপারিশ তৈরি হতে হতে সরকার গঠনের কাজও শেষ হয়ে যাবে। অনেক সংস্থা পরিকল্পনা করছে ভারতে কারখানা তৈরি করতে।
তাই যে সমস্যাগুলোর কারণে বাঁধা আসতে পারে তার সমাধান করে সংস্থাগুলিকে নিশ্চয়তা দিতে চাই। আঘি বলেন, মার্কিন সংস্থাগুলি থেকে ভারত পাঁচ হাজার কোটি ডলার লগ্নি করতে পারে।
এমআইআর /এসএস