ন্যাভিগেশন মেনু

চুরির জিনিস বইতে গিয়ে ক্লান্ত চোর,বেঘোরে ঘুমলো গৃহস্থের বাড়িতেই


চুরি করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়েই পড়ল চোর! তবে ঘুমের পরিণতি এতটা মর্মান্তিক হতে পারে, তা বোধ হয় ভাবতেও পারেনি সে। ঘুম ভাঙতেই বেধড়ক মার খেল অভিযুক্ত যুবক। ইতিমধ্যেই তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। 

 এ কাণ্ডটি ঘটেছে কলকাতার অদূরে ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর তালদির দক্ষিণ পাড়ায়।

 দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উত্তর তালদি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা প্রদীপকুমার নাথ। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মাঝে মধ্যে যাতায়াত করেন। বাড়ি যে প্রায়ই ফাঁকা থাকে তা কমবেশি সকলেরই জানা ছিল। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল এক যুবক। পরিণতি হল ভয়ংকর। বুধবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে জানালা ভেঙে ঢুকে পড়েছিল এক যুবক। 

 একদফা জিনিসপত্র হাতানোও হয়ে গিয়েছিল। সেই সব জিনিস ডেরায় রেখে আবারও ওই বাড়িতেই চুরি করতে ঢুকেছিল অভিযুক্ত।

 সেই সময় শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। মনোরম আবহাওয়া পেয়ে ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখে চেয়ারে বসে পড়ে অভিযুক্ত। কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে তা বুঝতেই পারেনি। সন্ধে ঘনিয়ে এলেও ঘুম ভাঙেনি। তবে ততক্ষণে স্থানীয়দের নজরে পড়েছে যে প্রদীপবাবুর ঘরের জানালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা প্রদীপবাবুকে ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। 

 বাড়ি এসে দরজা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ। দেখতে পান ঘরের মধ্যে সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এরপর চেয়ারে নজর পড়তেই প্রদীপবাবু দেখেন, একজন ঘুমিয়ে রয়েছে। ভয়ে আর্তনাদ শুরু করেন ওই ব্যক্তি।

 এরপরই ছুটে যান প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ওই যুবককে আটকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। প্রদীপকুমার নাথের দাবি, ওই যুবক এলাকায় আগেও কয়েকবার চুরি করে ধরা পড়েছিল। 

 এদিন ফের চুরি করে। ঘরের মধ্যে ঘুমিয়েও পড়েছিল। যদিও চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই অভিযুক্ত। তাঁর দাবি মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।

এস এস