ন্যাভিগেশন মেনু

চুয়াডাঙ্গার আগাম শিম আবাদে কৃষকের মুখে হাসি


শিম শীতকালীন সবজি হলেও চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে আগাম শিম উঠতে শুরু করেছে। এবার অসময়ে শিমের আবাদও বেশ ভালো হয়েছে। ফলে ফলন বেশি ও বর্তমান বাজারদরে শিমচাষিরা বেশ খুশি। 

জেলায় সবজির আবাদ সদর উপজেলায় বেশি হলেও শিমের আবাদ বেশি হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলায়।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গায় ৮২০ হেক্টর, দামুড়হুদায় ১ হাজার ৩১৪ হেক্টর ও জীবননগরে ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু শিমের আবাদ হয়েছে ৭০৫ হেক্টর জমিতে।

জানা যায়, এ অঞ্চলে ধান, গম, পাট ও ভুট্টা চাষে লাভ কম হওয়ায় সবজি চাষের দিকে কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন। গ্রামের মাঠের দিকে তাকালেই দেখা যায় জমি জুড়ে শিম আর শিমের মাচা। অনুকূল পরিবেশ থাকায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মাঠে এবার অসময়ে আগাম জাতের শিমের আবাদ করেছেন চাষিরা। 

সদর উপজেলার কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামেই ৯০ বিঘা জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। অসময়ে শিম উৎপাদন হওয়ায় দামও বেশি। ফলে শিম আবাদ করে এলাকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ফলে বাড়ছে অসময়ে শিমের আবাদও।

কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের মোবারক হোসেন জানান, তিনি ১৯৯২ সাল থেকে শিমের আবাদ করে আসছেন। এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে অটো জাতের শিম আবাদ করেছেন। এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজার থাকলে এর থেকে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার শিম বেচাকেনা হবে। প্রথমে কেজিপ্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা থাকলেও বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, শিম একটা লাভজনক শষ্য। এখন বাজারে শিম ছাড়া অন্য সবজি না থাকায় তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে তারা শিমের আবাদ করে আসছেন। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি রফিকুজ্জামান জানান, এলাকার জমি সবজি চাষের জন্য খুবই উপোযোগী। এই এলাকার চাষিরা শিমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করে থাকেন। এ বছর শিমের বাজার বেশ ভালো।

তিনি আরও বলেন, শীতের সবজি বাজারে এলে শিমের দাম কমে ৫০ টাকা ৬০ দরে বিক্রি হয়। এমন থাকলেও শিমচাষিরা বেশ লাভবান হবেন।

এ ছাড়া সবজি চাষের ব্যাপারে চাষিরা বেশ অভিজ্ঞ। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে এলাকার চাষিদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে শিমসহ সবজি চাষ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এনআই/ ওয়াই এ/ এডিবি