ন্যাভিগেশন মেনু

সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা


চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে এস এম আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মাইন উদ্দিন মিশন পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩১ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৬ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে ফুটবল পদে নির্বাচিত হয়েছেন হালিমা বেগম শান্তা।নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাহিদ তানমী লিজা কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৮ ভোট।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। কাস্টিং ভোট ১৮ শতাংশ।

সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহনের সময় শুরু হলেও বৃষ্টির কারনে প্রথম ২ ঘন্টা ভোটকেন্দ্রগুলো ছিলো ভোটারশূণ্য।সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি বন্ধ হলে এক দুজন ভোটার কেন্দ্রে আসলেও ভোটারের লাইন দেখা যায়নি বেশিরভাগ কেন্দ্রে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত কাস্টিং ভোট ছিলো মাত্র ২ শতাংশ। দুপুর ১টায় কাস্টিং ভোট বেড়ে দাঁড়ায় ১১ শতাংশ।

সরেজমিনে সকাল ১১ টার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের গ্রামের বাড়ির সামনে চৌকাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে  ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বেশিরভাগ কেন্দ্রের অবস্থা ছিলো একই রকম।
পাশাপাশি ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এস এম আনোয়ার হোসেনের নিজ ইউনিয়ন মগধরায়।মগধরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নতুন পাড়া কেন্দ্র, ২ নং ওয়ার্ডের  উত্তর মগধরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের লাম্বা সারি দেখা গেছে।

ভোটারদের নগণ্য উপস্থিতির পাশাপাশি অর্ধেকেরও বেশি কেন্দ্রে আনারস প্রতীক ছাড়া অন্য কোন প্রতীকের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। সরেজমিনে উপজেলার সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০ টি বুথের একটিতেও ছিলো না আনারস প্রতীকের ছাড়া পোলিং এজেন্ট। 

কম উপস্থিতি ভেতরেও বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে একাধিক জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়। জাল ভোট দেওয়ার সন্দেহে হারামিয়া ইউনিয়নের হারামিয়া উত্তর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের (কেন্দ্র নং-৫২) বাহির থেকে আদর ও পিয়াস নামের দুজনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভার ৮৬ টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২৪ জন।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৩ জন।

উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫ প্রার্থী। তারা হলেন- এস এম আনোয়ার হোসেন (আনারস),মাইন উদ্দিন মিশন (কাপ পিরিচ), ফোরকান উদ্দিন আহমেদ (দোয়াত কলম), নাজিম উদ্দীন জামসেদ (মোটরসাইকেল) ও শেখ মোহাম্মদ জুয়েল (হেলিকপ্টার)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা  করেছেন নাহিদ তানমী লিজা (কলস) ও হালিমা বেগম শান্তা (ফুটবল)।