ন্যাভিগেশন মেনু

ছোট ভাইকে সাশিয়ে নিজেই বন্ধুদের নিয়ে লিপ্ত হলো গণধর্ষণে!


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ছোট ভাইকে সাশিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে ১৪ বছর বয়সি এক মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বড়ভাই ও তার বন্ধুরা। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ অদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নির্যাতিতা কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক।

এর আগে গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে পুকুরপাড়ে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলো - ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়ার মোতালিবের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রি নজরুল ইসলাম (২৫), তার বড় ভাই রিকশাচালক বাদল (৩৭) ও তাদের ফুফাতো ভাই আবুল হোসেনের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রি মুছা (২৪)।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ‘নির্যাতিতা ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মাদরাসার হোস্টেলেই সে থাকতো। গত শনিবার হোস্টেলের পানির ট্যাংকে সমস্যা হলে সে গোসল করতে বাড়িতে যায়। পরে আবার মাদরাসায় যথা সময়ে ফিরেও যায়। কিন্তু ছাত্রীর মা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদরাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ করলে দারোয়ান সামুছুন্নাহার জানায়, তার মেয়ে মাদরাসায় নেই। খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাাচ্ছিলো না মেয়েকে, মেয়ের মোবাইলফোনে রিং হলেও রিসিভ করেনা কেউ।’

তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকা থেকে জৈনক মোবারক নামে এক ব্যক্তি ফোন করে মেয়ের অবস্থান জানায়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রাহ্মন্দীর নজরুল ইসলাম ওই মাদরাসা ছাত্রীকে একমাস ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদরাসাছাত্রীকে ফোনে ডেকে ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে রবিন্দ্র বাবুর পুকুর পাড়ে নিয়ে প্রথমে নজরুল ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার বড় ভাই বাদল ও ফুফাতো ভাই মুছা নজরুলকে সাশিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাসে একইস্থানে দু'জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।’

মামলার বাদী আরও বলেন, ‘সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে আমার মেয়ে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। মেয়ের ওপর নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই।’

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ওয়াই এ/এডিবি