ন্যাভিগেশন মেনু

জবাই করে ইমাম বন্ধুর ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করলেন আরেক ইমাম


পাওনা টাকা নিয়ে কলহের জের ধরে ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন তারই বন্ধু আরেকটি মসজিদের ইমাম ওয়াহিদুজ্জামান। ঘটনার ৫ দিন পর ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামান পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।

তাকে বুধবার মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওয়াহিদুজ্জামান শিবচরের একটি মসজিদের ইমাম। তার বাড়ি নড়াইল জেলার কলাবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে।

সোনারগাও  উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন দিদারুল ইসলাম। তার বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামে।

পিতার নাম আফতাব ফরাজী। দিদারুল গত ২৬ জুলাই মল্লিকপাড়া মসজিদে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওয়াহিদ তার বন্ধু দিদারুলের কাছ থেকে টাকা ধার নেন।

দীর্ঘদিন ধরেই ওই টাকা ফেরত দিতে তাগাদা দিচ্ছিলেন দিদারুল। নানা টালবাহানা শুরু করেন ওয়াহিদ। পাওনা টাকা যাতে দিতে না হয় সে লক্ষ্যে হত্যার পরিকল্পনাও করেন তিনি।

সূত্র জানায়, হত্যার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট রাতে মল্লিকপাড়ায় আসেন ওয়াহিদ। এ সময় তিনি তার হাতে করে দুটি কোমল পানীয়র (কোক) বোতল নিয়ে আসেন।

এর একটিতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। দিদারুল একপর্যায়ে কোক খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে কোরবানির পশু জবাই করার ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করেন ওয়াহিদ। সূত্র জানায়, দিদারুলকে হত্যার পর তার ঘাড় মাথা থেকে আলাদা করেন ওয়াহিদ।

পরে ঘাতক তার রক্তমাখা লুঙ্গি ও কোকের বোতল দুটি মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যান। হত্যার পরের দিন ২৩ আগস্ট দিদারুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা  মামলা করেন।

ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে। তার কথামতো গতকাল দুপুরে মল্লিকপাড়া মসজিদের পাশের ডোবা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও কোকের দুটি বোতল উদ্ধার করা হয়।