ন্যাভিগেশন মেনু

জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো প্রয়োজন: মেহবুবা


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেয়েছেন, ‘দিল’ আর দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব মুছে যাক জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের। সেই আশাতেই গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সর্বদল বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু এত সহজে এই দূরত্ব ঘোচানো সম্ভব নয় বলেই মত কাশ্মীরের প্রধান দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।

মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা, দু’জনেরই মত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে কেন্দ্রের তরফে সদর্থক পদক্ষেপ একান্তই প্রয়োজন।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেহবুবা বলেন, ‘‘একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই। আমি দিল্লিতে নির্বাচনের দাবি জানাতে আসিনি। বরং জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সেখানকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে তোলার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানাতে।’’

তাঁর মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষেরা যেভাবে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তা দূর করা দরকার।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা ও বহু বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার মতো ছোট পদক্ষেপ করতে পারলে তবেই কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের মনের দূরত্ব দূর হবে।

এদিকে ওমর আবদুল্লার মতে, জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া ও সেখানে সংবিধানের ৩৭০ ধারা চালু করার মতো দাবি জানানো নেহাতই অর্থহীন। বিজেপি সরকার যে তা কখনওই করবে না সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির ৭০ বছর লেগেছে ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত নিজেদের রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা পূর্ণ করতে। আমাদের লড়াই সবে শুরু হয়েছে।

আমরা মানুষকে এটা বলে বোকা বানাতে চাই না যে ৩৭০ ধারা ফেরানো নিয়ে আমরা কথা বলব। ওটা ফেরত পাওয়ার আশা করা বোকামো। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে তেমন কোনও ইঙ্গিত আমরা পাইনি।’’

তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠককে একেবারে গুরুত্বহীন বলে দেগে দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর মতে, এটা সবে একটা সূচনা মাত্র। আবদুল্লা জানাচ্ছেন, ‘‘এটা প্রথম পদক্ষেপ। আত্মবিশ্বাস ও পারস্পরিক বিশ্বাস ফিরে পেতে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।’

এস এস