ন্যাভিগেশন মেনু

জলদস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর, নাবিকদের বরণ করবে মঙ্গলবার


সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস আটক থাকার পর দেশে পৌঁছালো  বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিককে। কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর খালাস করবে। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে জাহাজটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম শিপিং। 

তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের চালান খালাস করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে আসবে।  মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। জিম্মি মুক্ত নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও ছুটিতে যাবেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ যাত্রা শেষে এমভি আবদুল্লাহ কক্সবাজারে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। 

সেখানে চালান খালাস করে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। নাবিকদের লাইটার জাহাজে করে সরাসরি মঙ্গলবার সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে আনা হবে। সেখানে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের বরণ করা হবে। নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন। নাবিকদের স্বজনরাও থাকতে পারেন।'



এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানো পর মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। পরে জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে গত ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করার পর আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এরপর দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকদের জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের মাধ্যমে মুক্তি পায়।

গত ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করে নতুন নামকরন এমভি আবদুল্লাহ।