ন্যাভিগেশন মেনু

জলপথে চিনা আগ্রাসন রুখল ভারতীয় সেনারা


চিনা সেনারা সীমান্ত লংঘন করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় কর্তপক্ষ। উত্তেজনাপূর্ণ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আরও একবার ভারতীয় সীমান্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করল চিনের পিপল'স লিবারেশ আর্মি (পিএলএ)।

চিনা সেনারা গত মঙ্গলবার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছে। প্যাংগং লেকের পশ্চিম তীর দিয়ে মঙ্গলবার একাধিক স্পিডবোট নিয়ে চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে।

তবে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। লেকে ভারতীয় বাহিনীর সজাগ পাহারায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে গত সোমবার চিনা সেনার ২৫-৩০ জনের একটি দল চুশূলের মুখেরপরি পাহাড় দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, সেদিনও পারেনি। ভারতীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে ফিরে যায়।

ঘটনার দিন পূর্ব লাদাখের ফিংগার-চার অতিক্রম করে চিনা সেনার একটি দল ভারতীয় ভূখণ্ডের আরও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘড়িতে তখন বিকেল ৫টা। দুটি স্পিডবোট ৪০ চিনা সেনা ফিংগার তিনেকর দিকে এগোতে থাকে।

গত মে মাস থেকে ফিংগার-ফোর দখল করে রেখেছে চিন। সেখানে লালফৌজের শিবিরও তৈরি হয়েছে। ফিংগার-তিনে মোতায়েন থাকা ভারতীয় সেনার নজর উপেক্ষা করে এবার আর এগোতে পারেনি চিনা সেনার ৪০ জনের ওই দলটি। ভারত সতর্ক করলে, স্পিডবোট মুখ ঘুরিয়ে ফিংগার চারে ফিরে যায় চিনা সেনা।

এরআগে ২৯ ও ৩০ আগস্ট রেচিন লা ও রেজাং লা'র দখল নিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা। এই দুই অঞ্চল থেকে চিনের মল্ডো ক্যানটনমেন্টের উপর নজর রাখতে পারবে ভারতীয় সেনা। কৌশলগত গুরুত্বের কথা ভেবে চিনা সেনা চেষ্টা করবে এই শিখর দু'টি পুণর্দখল করার।

ভারতীয় সেনা বাহিনীও চুপচাপ বসে নেই। চিনা সেনা যেসমস্ত এলাকা দিয়ে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে, সেখানে ভারতও ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান তৈরি রেখেছে। যে কোনও ধরনের চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারত তৈরি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গলওয়ানের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে, এ বার আর ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

অর্থাৎ চিনের পক্ষ থেকে সামান্যতম উস্কানির চেষ্টা হলে, ভারতীয় সেনা ছেড়ে কথা বলবে না। বুধবার থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করে উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালছে চিন।

সরকারি সূত্রে খবর, প্যাংগং লেকের উত্তরে, ফিংগার অঞ্চলে নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করেছে চীন। এর মধ্যে সংঘাতে প্ররোচনা রয়েছে বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সেনাও অবগত। পিপল'স লিবারেশন আর্মির কার্যকলাপের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রত্যাঘাত করতে পিছপা হবে না ভারতীয় সেনা। পরিস্থিতি যদি সেদিকে এগোয়, ভারতকে প্রত্যাঘাত করতেই হবে।

এস এস