ন্যাভিগেশন মেনু

জাতীয় যুবদলের খেলোয়াড় থেকে মাদক জগতে!


ছিলেন অ্যাথলেট। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে কুষ্টিয়া জেলায় সেরা হয়ে অংশগ্রহণ করেন বিভাগীয় পর্যায়ে। দৌড়ে খুলনা বিভাগেও সবাইকে ছাড়িয়ে যান মো. হাসান। এরপর ঢাকায় গিয়ে ট্রায়াল দিলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। তবে স্প্রিন্টে না পারলেও হ্যান্ডবলে জাতীয় যুবদলে ঠিকই জায়গা করে নেন তিনি। খেলেন বেশকিছু ম্যাচও। 

ক্রীড়ায় যার এমন উজ্জ্বল পথচলা তিনিই অবশেষে হারিয়ে গেলেন মাদকের অন্ধকার জগতে!

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ জাতীয় যুব হ্যান্ডবল দলের সাবেক এই খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করেছে। 

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বড়মসজিদ পাড়ার মৃত মওলা বক্সের ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৩), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আসলাম (৪৭), মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. হাসান (৪৯) এবং শহরের দৌলতদিয়াড় পাড়ার মতলেবের ছেলে তোতা মিয়া (৪৭)।

গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে ৪৯টি প্যাথেড্রিন, নগদ ৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং একটি দা উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ মাদককারবারি বনি ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হাসানও আছেন। তার বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, বনি চুয়াডাঙ্গায় মাদকের নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তাকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তারে অভিযান চালালেও সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মসজিদ পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর হাসান পুলিশকে জানায়, ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় যুব হ্যান্ডবল দলে খেলেন। ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি এই দলে খেলেন। এরপর ভাগ্যান্বেষণে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান। সেখানে সুবিধা করতে না পারায় দেশে ফেরেন ২০১৭ সালে। 

দেশে একটি মুদির দোকান দিলেও তা বন্ধ হয়ে যায় অল্পদিনেই। এরপর বন্ধুদের সাথে মিলে মাদকের জগতে পা বাড়ান। প্রথমে শুধু সেবন করলেও পরে নিজেও বিক্রিতে নেমে পড়েন। যোগ দেন বনির দলে। ২০১৮ সালে একবার গ্রেপ্তারও হন তিনি। 

গ্রেপ্তার বনির বিরুদ্ধে ৬টি, হাসানের বিরুদ্ধে ৬টি, আসলামের বিরুদ্ধে ৪টি এবং তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা আছে বলে জানান ওসি মহসীন।

এসকে/এডিবি/