জামালপুরে যমুনা নদীর পানি অনেকটা কমে এলেও প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি।
একদিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও বন্যার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি স্থির থেকে পৌরসভাগুলোসহ ৪৩টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত আছে। পানিতে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। মানুষ বাঁধে সড়কে কিংবা উঁচু কোনো স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। প্রায় সময়ই পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সেইসঙ্গে দেখা গেছে শিশু খাদ্যের অভাব।
যোগাযোগের অভাবে কেউ কোথাও বের হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য লোক। এর মধ্যে আবার করোনার চিন্তা মাথার উপর বাড়তি বোঝা হয়ে আছে বানভাসীদের। ত্রাণের জন্য বানভাসী অসহায় মানুষদের হাহাকার চোখে পড়ার মতো। বন্যায় পানিবন্দি মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম অধিকাংশ জায়গায় শুরুই হয়নি।
সরকারি তথ্যমতে জামালপুরে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ২ শ পরিবার। পানিবন্দি আছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ জন মানুষ।
ওআ/
