জামালপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা নিয়ে ভাসুর ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মাঝে বিরোধ চলছে। ভাসুরের অভিযোগ, মালিক না হয়েও অধিগ্রহণের টাকা দাবি করছেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা আলম। অপরদিকে রুনা আলমের অভিযোগ আদালতে মামলা থাকলেও তার ভাসুরেরা অধিগ্রহণ কর্মকর্তার যোগসাজশে গোপনে চেক উত্তোলন করেছে।
শহরের স্টেশন রোডের বাসিন্দা খন্দকার ফারুক আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার মায়ের রেখে যাওয়া মোট ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ জমির মালিক তারা ৬ ভাই ২ বোন। ভূমি আইন অনুযায়ী তারা সকলেই ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ জমির মালিক।
ভাই-বোনেরা যার যার হিস্যার জমি বন্টনের আগেই অভিযুক্ত রুনা আলমের স্বামী খন্দকার ইলিয়াস মোর্তজা প্রাপ্য জমি থেকে ২ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি মূলে বিক্রি করেন। যে জমি পরবর্তীতে রেলওয়ে ওভারপাস প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় এবং জমির বর্তমান মালিক জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরনের টাকা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে নিজেই উত্তোলন করেন। তার ছোট ভাই প্রয়াত খন্দকার ইলিয়াস মোর্তজার স্ত্রী রুনা আলম বর্তমানে যেখানে বসবাস করেন সেটা তার স্বামীর বিক্রিত জমির পেছনের অংশ এবং তার বসবাসকৃত জমির পরিমান ৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার ফারুক আহমেদ অভিযোগ করেন, যেখানে তার ছোট ভাই প্রয়াত খন্দকার ইলিয়াস মোর্তজা ৪.৮৩ শতাংশ জমির মালিক, সেখানে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা আলম তাদের বিক্রিত জমিসহ মোট ৫ শতাংশ দখল করে আছেন। ভাগের চেয়ে বেশি জমি পেয়েও রুনা আলম তাদেরকে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ইতোমধ্যে রুনা আলম মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে মামলা দায়েরের অপচেষ্টা করছেন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ সাজিয়ে সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে অপপ্রচার করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা আলম কর্তৃক হয়রানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানহানি করার অভিযোগ তুলেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এসময় খন্দকার ফারুক আহামেদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে রুনা আলম অভিযোগ করেন, জামালপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পে তার জমিও অধিগ্রহণের আওতায় পরে। কিন্তু তার স্বামী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত খন্দকার ইলিয়ার মোর্তুজার ভাইয়েরা প্রতারণা করে অধিগ্রহনের টাকা আত্মসাতের পায়তারা চালায়। খবর পেয়ে তিনি জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করে ২০২২ সালের ২১ জুন ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আপত্তি ও আদালতে দুটি মামলা করেন। মামলা চলমান থাকাবস্থায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গত ২৯ আগস্ট গোপনে অধিগ্রহণের পুরো টাকার চেক তুলে নেন তার ভাসুরেরা।