ন্যাভিগেশন মেনু

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বড় জয় বাংলাদেশের


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের ধারায় ফিরলো টাইগাররা।

টাইগারদের দেওয়া ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

পঞ্চম ও শেষ দিনে ৩ উইকেটে ১৪০ রানে খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। তবে বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং শিবির ধসে দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। দুজনেই শিকার করেছেন চারটি করে উইকেট।

চতুর্থদিন একটি উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ, তাসকিন ও সাকিব আল হাসান। ব্রেন্ডন টেলরের ৯২ রানের দাপুটে ইনিংসের সঙ্গে ৫২ রান করেন ডোনাল্ড তিরিপানো।

এরআগে, প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯২ রানে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত শতকে ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এর ফলে ৪৭৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য পায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংসে সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলামের দূর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮৮ রানে সাইফ হাসান ব্যাক্তিগত ৪৩ রানে সাজঘরে ফিরলে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে জুটি গড়ে দলকে বড় লিড এনে দেয় সাদমান ইসলাম।

ইনিংস ঘোষণার আগে সাদমান ইসলাম ১৯৬ বলে ৯ চারের সুবাদে অরপাজিত ছিলেন ১১৫ রানে ও নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১১৮ বল খেলে ৫ চার ও ৬ ছক্কার সুবাদে ১১৭ রানে।

তার আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ৪৬৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে ২৭৬ রানে থামলো জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে মিরাজ ৫ উইকেট ও সাকিব ৪ উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের টপ-অর্ডারের ব্যাটাররা দেখিয়েছে দুর্দান্ত ব্যাটিং। ওপেনার মিল্টন শুম্ভার ৪১ রানে বিদায়ের পর ১১৫ রানের জুটি গড়েন কাইতানো ও টেইলর। টেইলর ৮১ রানে বিদায় নিলেও অভিষেকে ফিফটি তুলে নেন কাইতানো। তবে সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে মিরাজের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।

কাইতানোর বিদায়ের পরই লুটিয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন-আপ। মিরাজের ঘূর্ণির কাছে দিশেহারা হয়ে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ২৭৬ রানে।

এমআইআর/এডিবি/