চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্বামীর বাড়ি থেকে ঊর্মি খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে নিজের ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃত্যুদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
ঊর্মি খাতুন উপজেলার উথলী গ্রামের তেঁতুলতলা পাড়ার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।
প্রতিবেশীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো স্বামী জিয়াউর রহমান সকাল ৯টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়িসহ অন্য সদস্যরা না থাকায় সবার অজান্তে নিজ ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় ঊর্মি খাতুন।
অনেকক্ষণ ধরে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ হয়। এ সময় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে সিলিংফ্যান থেকে ঊর্মি খাতুনের মৃতদেহ মাটিতে নামায়।
ঊর্মি খাতুনের স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, দীর্ঘ ৮ বছরে ঊর্মি খাতুনের কোন সন্তান না হওয়ায় সে মানুষিকভাবে অশান্তিতে ভূগছিলেন।
ঊর্মি খাতুনের বাবা জহুরুল হক জানান, 'ঊর্মি খাতুনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারিরীক নির্যাতন করে হত্যা করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।'
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুল হক ঝন্টু জানান, আমার ওয়ার্ডের তেঁতুলতলা পাড়ায় ঊর্মি খাতুন নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে/এডিবি/