ন্যাভিগেশন মেনু

জীবননগরে চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ


চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তি তার আপন ছোটভাইয়ের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এর আগেও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে ওই কিশোরী অভিযোগ করেছে।

ঘটনাটি পারিবারিকভাবে ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মজিবুর রহমান (৬০) জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামের মৃত আদম আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় পিয়ারাতলা জামে মসজিদ কমিটির সভপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামের ওই কিশোরী গত শুক্রবার সন্ধায় বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছিল। তার আপন চাচা হঠাৎ ঘরের বাইরে বের হয়ে ওই কিশোরীকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক একটি ঘরে নিতে চেষ্টা চালায। শ্লীলতাহানির চেষ্টাকালে কিশোরীর চিৎকারে তার মাসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে পারিবারিকভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাদেরকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখায়। শুক্রবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

কিশোরী জানায়, আমরা বাবা-মা, ভাইসহ ঢাকাতে বসবাস করতাম। ২০১৭ সালে আমার দাদু অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে আমরা গ্রামের বাড়িতে আসি। দাদু থাকতো ফুপুর বাড়িতে। আমার চাচা মজিবুর রহমান দাদুর জন্য  ফুপুর বাড়িতে খাবার পাঠাতো। দুপুরে খাবারের বাটি চাচার বাড়িতে দিতে যায়। সেসময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। তিনি আমাকে একা পেয়ে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। ভয়ভীতি দেখায় কাউকে কিছু না বলার জন্য। আমি ঘটনাটি বাবা-মা কে না বলে ফুপুকে জানাই। তিনি কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে দেন। এরপর গত শুক্রবার সন্ধায় বাড়ির সামনের ঘোরাঘুরির সময় তিনি আমাকে আবারও জোর করে ধরে নিয়ে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান জানান, বিষয়টি শোনার পর দুইপক্ষকে নিয়ে পারিবারিকভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য বলেছি।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসকে/সিবি/এডিবি/