ন্যাভিগেশন মেনু

জীবননগরে দিনদুপুরে ব্যাংক থেকে পৌনে ৯ লাখ টাকা লুট


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে দিনদুপুরে পৌনে ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ব্যাংকের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

খবর পেয়ে উথলী বিজিবির বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা ও জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিল লিংকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) উপ-পরিচালক মো. জিএম জামিল সিদ্দিক, সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ব্যবস্থাপক খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামসহ ডিজিএফআই, ডিএসপি ও সিআইডির উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।

উথলী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আজ বেলা সোয়া ১ টার সময় হেলমেট এবং পিপিই পরিহিত অবস্থায় মোটরসাইকেলে ৩ জন এসে ব্যাংকে প্রবেশ করে। এরপর তারা পিস্তল উচিয়ে ব্যংকের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা ব্যাংকের সবার মোবাইলগুলো নিয়ে নেয় এবং একটি কক্ষে সবাইকে আটক করে। পরবর্তীতে ব্যাংকের ভোল্টারে রক্ষিত টাকাসহ কাউন্টারে থাকা পৌনে ৯ লক্ষ টাকা লুট করে নেয়। এসময় টাকা তুলতে আসা এনামুল হক নামে এক গ্রাহক চিৎকার শুরু করলে বাজারের লোকজন ডাকাত দলের সদস্যদেরকে ধাওয়া করলে তারা পিস্তল উচিয়ে লোকজনকে গুলি করার হুমকি দেয়। এ সময় লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকলে ডাকাতদল মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সবমিলিয়ে ডাকাত দল ৫ মিনিটের ভেতর টাকা লুট করে পালিয়েছে।

মন্টু নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোটরসাইকেলযোগে তারা পালানোর সময় ইট-পাটকেল মারা শুরু করলে ডাকাত দলের এক সদস্যের মাথায় লাগে। এসময় ডাকাত দলের এক সদস্য পিস্তল উচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ি। এসময় তারা মোটরসাইকেলে করে তারা পালিয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকে সিসি ক্যামেরাসহ নিরাপত্তার ঘাটতি ছিলো। ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সংস্থা মাঠে কাজ করছে। 

সিবি/এডিবি