ন্যাভিগেশন মেনু

জুনেই ভারতে শিশু-কিশোরদের টিকাদান শুরু


বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের জেরে  নাস্তানাবুদ ভারত। দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে গিয়ে  বিপর্যস্ত ভারত। মৃত্যু হার উর্ধ। সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছে দফায় দফায় লকডাউন। 

চলছে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনেশনের কাজ। আর এই অবস্থায় শিশু ও কিশোরদের জন্য আশার কথা শোনালেন ভারত বায়োটেকের বিজনেস ডেভলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভোকেসির প্রধান ডঃ  র্যাচেস এল্লা। তিনি বলেন, আগামী জুন থেকে করোনা কোভ্যাকসিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল শুরু করতে পারে।

এফআইসিসিআই লেডিজ অর্গানাইজেশন) আয়োজিত রবিবার  ‘অল অলট ভ্যাকসিনস’ সংক্রান্ত আলোচনায় এল্লা বলেন, ” ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিনের’ ট্রায়ালের জন্য তৃতীয় বা চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে পারে।”

তিনি আরও  জানিয়েছেন যে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বছর শেষে আরও বাড়বে। এই বছরের শেষের দিকে কোভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া বাড়ানো হবে এবং প্রায় ৭০০ মিলিয়ন টিকার ডোজ সরবরাহের কথাও জানিয়েছেন।

এজন্য তিনি তাদের সংস্থাকে ১,৫০০ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

এদিকে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া গত ১৩ মে কোভাক্সিনের দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে।

গত ২০ মে ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছিল যে, এটি ভারত বায়োটেকের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা গুজরাটের অঙ্কলেশ্বরের চিরন বেহরিংতে তারা কভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস  মোকাবেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সিরাম ইন্সটিটিউ এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড' ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

এস এস