ন্যাভিগেশন মেনু

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য সহকারীকে পেটালেন চেয়ারম্যান


ঝালকাঠিতে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারীকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান। আহত স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত করিম (৩৫) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আহত ওই স্বাস্থ্য সহকারী।

এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার খানের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এনায়েত করিম।

এনায়েত করিম বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমাকে মারধোর করে শুধু লাঞ্ছিতই করেননি, সিরিঞ্জ দিয়ে পেট ফুটো করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। আমরা মানুষের জন্য ঝুঁকি নিয়ে করোনার টিকা দিতে গিয়ে অনেক কষ্ট করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে টিকা দিতে গিয়ে আমাকে চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হতে হলো।’

প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন ও হেমায়েত উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিদের হলরুমে টিকা দেওয়ার কাজ করছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানের নারী বুথে স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত করিমকে দায়িত্ব দেওয়ায় চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাকসুদা বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং তর্ক করেন।

দুপুর আড়াউটার কিছু আগে স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত করিম ভিড় কমাতে নারী বুথকে দুটি ভাগে ভাগ করেন। চেয়ারম্যান আবুল বাশার দুপুরে টিকাকেন্দ্রে এসে দুটি নারী বুথ দেখে উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত করিমকে অকথ্য গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে টিকা নিতে আসা মানুষের সামনে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। এতে কিছু সময়ের জন্য টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪ টায় এনায়েত করিমকে তার সহকর্মীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাকসুদা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান শত শত মানুষের সামনে আমার কর্মীকে মারধর করেছেন। এ ঘটনার থানায় অভিযোগ দিয়েছি, বিচার না হলে আমরা পরবর্তী সময়ে কোনো টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেবো না।’

পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান বলেন, ‘স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত করিম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। আমি তাকে কোনো মারধর করিনি। তিনি জামায়াতের কর্মী, তাই টিকা কর্মসূচি বানচাল করে আমার ইউনিয়নের বদনাম করতে চান।’

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। থানায়ও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করেছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এএস/এডিবি/