ন্যাভিগেশন মেনু

টেকনাফ ও উখিয়ায় র‍্যাব ও বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত


কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর (বিজিবি) সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা ডাকাত ও এক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ হাসেম বাহিনীর প্রধান হাসিমুল্লাহ (৩৩) নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‍্যাব-১৫।

র‍্যাব জানায়, টেকনাফ থানাধীন দমদমিয়া এলাকায় র‍্যাবের সাথে গুলিবিনিময়কালে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ হাসেম বাহিনীর প্রধান হাসিমুল্লাহ (৩৩) নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশি, বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডাকাতির প্রস্তুতি ও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে র‍্যাব-১৫-এর একটি দল অভিযানে গেলে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে লুৎফুর রহমান লুতু (৪০) নামের এক মাদককারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার ইয়াবাসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়ার চিংড়িঘের এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফুর রহমান লুতু (৪০) নলবনিয়া গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে।

কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, উখিয়া সীমান্তে মাদক পাচারকালে বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

বিজিবির অধিনায়ক জানায়, নিহত লুৎফুর রহমান লুতু একজন ডাকাত ও মাদককারবারি। তার বিরুদ্ধে ১২টির অধিক মামলা রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপার সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এসএএম/এডিবি/