ন্যাভিগেশন মেনু

ট্রাফিক পুলিশের বাড়িতে সোনার টয়েলেট


ট্রাফিক পুলিশের এক আঞ্চলিক প্রধানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের চোখ কপালে উঠে গেছে! বাড়ি তল্লাশি করে  বিলাসবহুল গাড়ি, দামী আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, এমনকি সোনায় মোড়া টয়লেটও দেখতে পায়।

এই ঘটনা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় স্টাভরোপল প্রদেশে। দুর্নীতিবাজ কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (এসকে) যখন দক্ষিণাঞ্চলীয় স্টাভরোপল প্রদেশের ট্রাফিক বিভাগের প্রধান কর্নেল অ্যালেক্সই সাফোনভের প্রাসাদোপম বাড়িতে তল্লাশি চালায়, তখন এগুলোর সন্ধান মেলে।

ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ কর্নেল সাফোনভ এবং ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ঘুষের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ট্রাফিক পারমিট বিক্রি করতেন। এই পারমিট ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে খাদ্য এবং নির্মাণসামগ্রী বাহী গাড়ি পুলিশের চেকপোস্টের ভেতর দিয়ে পার করতো বলে এসকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য দেননি।

বিবিসি জানায়, উত্তর ককেশাস অঞ্চলের পুলিশ এই দুর্নীতির তদন্তে ৮০টির বেশি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এসকে। রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (এসকে) হলো অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের আদলে গঠিত তদন্ত সংস্থা।

এসকে'র কর্মকর্তারা বলছেন, সাফোনভ গ্যাংয়ের সদস্যরা গত কয়েক বছর ধরে ১৯ মিলিয়ন রুবলেরও বেশি অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে কর্নেল সাফোনভের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ক্রেমলিনপন্থী দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির এমপি অ্যালেকজান্ডার খিনশটেইন জানান, অভিযানে ওই প্রদেশের ট্রাফিক বিভাগের মোট ৩৫ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে মন্তব্য করে খিনশটেইন জানান, 'মূলত, স্টাভরোপলে এরা মাফিয়ার মতো কাজ করতো। কালোবাজারে ভুয়া নম্বর প্লেট বিক্রি থেকে শুরু করে কার্গো পারমিট, বালু চালান - সবকিছু থেকে তারা অর্থ আদায় করতো।'

এডিবি/