ন্যাভিগেশন মেনু

ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্ধারকৃত নীলগাইটির জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা


ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাগরনদীর পাশ থেকে বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই আটক করেছে স্থানীয়রা। বর্তমানে রশি ও শেকল দিয়ে চার পা বেঁধে রাখায় সেটির জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা এলাকায় স্থানীয়রা বিরল প্রজাতির নীলগাইটি দেখতে পায়। ভারত থেকে সেটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আসায় কাটাতারের ওপারে ভারতীয়রা সেটিকে নজরে রাখে। শালডাঙ্গা এলাকার অর্ধশতাধিক লোক নীলগাইটিকে ধরতে তাড়া করে। পরে সেটি নাগরনদী পার হওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয় চার যুবক গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে দিয়ে সেটিকে আটক করে গ্রামে নিয়ে যায়।

গ্রামবাসীরা ওই নীলগাইটিকে জবাই করে খাওয়ার চেষ্টা করলে কান্তিভিটা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে হাজির হয় এবং তাদের হাত থেকে সেটি উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। বর্তমানে নীলগাইটি পাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প হেফাজতে রয়েছে।

বুধবার দুপুরে বনবিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা গরুটির শিকল ও রশির বাঁধন খুলে দেওয়ার চেষ্টা চালালে বিজিবি সদস্যরা বাঁধা দেয়।

তারা জানান, নীলগাইটি অত্যন্ত শক্তিশালী। সেটি ছাড়া পেলে এক ঝটকায় পালিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে।

পাড়িয়া এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী মকবুল হোসেন  বলেন, দ্রুতগতিতে আসা নীলগাইটি আমরা কয়েকজন মিলে আটক করি। ভারত হতে কাটাতারের বেড়া পার হয়ে আসায় সেটির শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়।

পাড়িয়া শালডাঙ্গা গ্রামের সাকিব জানান, মঙ্গলবার আমি সীমান্ত এলাকায় বেগুন ক্ষেতে বেগুন তুলছিলাম। কিছু লোক নীলগাইটিকে তাড়া করলে সেটি প্রথমে পশ্চিম দিক থেকে ছুটে আসে। পরে আবার কাটাতারে বেড়ার দিকে গেলে নদীতে আমরা সেটিকে ধরি।

এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসিরুল ইসলাম জানান, গ্রামবাসী নীলগাইটিকে জবাই করে খাওয়ার চেষ্টা করায় শরীরে বেশকিছু জখম রয়েছে। শরীরে ১৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের তত্বাবধানে রয়েছে। আজকে নীলগাইটিকে ২০ লিটার পানি খাওয়ানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটরসহ আলাপ করেছি। বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ এটিকে নিতে আপত্তি করলে চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল বলেন, নীলগাইটি এলাকাবাসী আটক করার সময় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি বনবিভাগ সেটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে অবমুক্ত করার ব্যবস্থা নেবেন।

বিআইবি/ ওয়াই এ/এডিবি