ন্যাভিগেশন মেনু

ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন


ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনের আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন চলছে ঢিলেঢালা ভাবে।

শুক্রবার (২৫ জুন) লকডাউন চলাকালীন সময়ে কার্যত বিভিন্ন বিধিনিষেধ তেমন একটা মানতে দেখা যায়নি। জেলার  বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তাছাড়া, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনে মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেক দোকানপাট অর্ধেক সাটার খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় বাঁশ দিয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রাখা হলেও পথচারীদের ব্যাপকভাবে চলাচল করতে দেখা যায়।

এদিকে লকডাউন অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৩টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন সদর উপজেলার রুহিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মৌচাক হোটেলের মালিক মরিফ হোসেন সরকারকে ৫ হাজার টাকা, আল মদিনা ক্লোথ স্টোর মালিক শফিকুল ইসলামকে এক হাজার টাকা এবং সালেহা হার্ডওয়াার মালিক খাদেমুল ইসলামকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জেলায় জুনের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় আশংকাজনকভাবে। গত ২৩ জুন থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত হয়েছে ১৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৯ জন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জেলায় ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত হিসেবে সংক্রমণের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।

লকাডাউনে প্রচারিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে মহাসড়ক পথে অন্য কোনো জেলা, উপজেলা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে কেউ প্রবেশ করতে পাড়বে না। সেই সাথে জেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না। সকল ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

তবে জরুরি সেবা যেমন, ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ ও পরিবহন এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। সকল পশুরহাট বন্ধ থাকবে।

এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। হোটেল রেস্তোরায় বসে খাবার খাওয়া যাবে না। শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ ঘটে এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

বিআইবি/ওয়াইএ/এডিবি/