ন্যাভিগেশন মেনু

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেয়ার প্রলোভনে গ্রেপ্তার ১


মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার প্রলোভনে অসংখ্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার হরিপুর উপজেলা ইউএনও’র শ্যালক তানবিন হাসানের বিরুদ্ধে ।

এ ঘটনায় গ্রামবাসী ইউএনওর শ্যালক ও তার সহযোগীকে আটক করে। ইউএনওর শ্যালক কৌশলে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলার হরিপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৯৩৬ টি ঘর নির্মান করার কথা । ইতোমধ্যে ৫৩৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন হয়েছে ও বাকি ৪০০ টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে। এসব কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন হরিপুর উপজেলার ইউএনও আব্দুল করিম তার শ্যালক তানবিন হাসান । তিনি ইউএনও নাম ভেঙ্গে ভাতুরিয়া রামপুর গ্রামের ২০/২৫জন দরিদ্র মানুষের কাছে বাড়ি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর টাকা আদায় করে তানবিন হাসাওরে সহযোগী আবুল কালাম আজাদ।

প্রথম ধাপে বাড়ি দিতে না পারায় এলাকাবাসি শ্যালকের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। এদিকে মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে শ্যালক তানবিন ও তার সহযোগী রামপুর গ্রামে গেলে গ্রামের লোকজন তাদের কাছে প্রদত্ত টাকা ফেরত দাবি করে।কিন্তু তারা টাকা দিতে না পারলে তাদের আটক করে গ্রামবাসী । অবস্থা বেগতিক দেখেই উএনও শ্যালক তানবিন হাসান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার সহযোগী আবুল কালাম আজাদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসি।

রামপুর গ্রামের জহুরা খাতুন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, আমার কোন বাড়িঘর নেই। আমাকে ঘর দেওয়ার জন্য ইউএনও শ্যালক আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। আমি আমার শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু উনি ঘর দিতে টালবাহানা করে আসছে।

ওই গ্রামের সফিউর রহমান বলেন, আমাকে ইউএনও’র শ্যালকের সহযোগী আবুল কালাম আজাদ ঘর দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা চায় ।আমি আমার হালের গরু বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা দেই। এখন আমার গরুও নাই আমাকে ঘরও দিচ্ছে না।

হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী বলেন, এই উপজেলায় যতগুলো ঘরের কাজ হয়েছে সবগুলো নিম্মমানের। প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে এমন অবহেলা একদমই ঠিক নয়। এছাড়াও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকাও দিতে হচ্ছে শুনেছি আমি।

হরিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস এম আওরঙ্গজেব বলেন, মঙ্গলবার রাতে রামপুর গ্রাম থেকে খবর আসে একজনকে আটক করে রাখা হয়েছে। পরে থানা থেকে গিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রামপুর এলাকার সাইদুর রহমান বাদি হয়ে আটক ব্যাক্তি আবুল কালাম আজাদ এর নামে প্রতারনা ও অর্থ আত্বসাৎ মামলা করে। হরিপুর থানার মামলা নম্বর-০৫, তাং-০৯.০৬.২১ দন্ডবিধি ৪০৬/৪২০।মামলায় বাদি উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ ইউএনওর শ্যালক তানবিন হাসান এর সহযোগী হিসেবে কাজ করে এবং মঙ্গলবার এলাকাবাসি ২ জনকেই আটক করেছিল। কিন্তু তানবিন পালিয়ে যায়। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, আইন সকলের জন্য সমান। অপরাধী যেই হোক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআইবি/সিবি/ওআ