ন্যাভিগেশন মেনু

ঠাকুরগাঁওয়ে বালক বিদ্যালয়ে লটারিতে উত্তীর্ণ বালিকা


ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে ওয়াসিমা আক্তার লুবনা নামের এক ছাত্রী। এ ছাড়াও তালিকায় একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভর্তি লটারির প্রকাশিত ফলাফলে বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় বালিকার নাম প্রকাশের পর অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে লটারিতে বিজয়ী ওই মেয়ে শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাও গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে ওয়াসিমা আক্তার লুবনা।

ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ডে শিফটের ভর্তি তালিকায় তার নাম এসেছে। এ ছাড়াও বোরহানুজ্জামান নামে একজন শিক্ষার্থীকে দুইবার বিজয়ী দেখানো হয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ রসিকতা করতেও ছাড়ছেন না।

উত্তীর্ণ ছাত্রীর বাবা মাদরাসা শিক্ষক হায়দার আলী জানান, 'আবেদন প্রক্রিয়ায় আমার কোনো ভুল ছিলোনা। আমার মেয়েকে ঠাকুরগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে পড়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। কিন্তু এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।'

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক পিযুষ কান্তি রায় বলেন, ওই মেয়ে শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।

কিভাবে বালক বিদ্যালয়ে একজন মেয়ে ভর্তির লটারিতে বিজয়ী হলো প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অভিভাবকের ভুলের কারণে এমনটা হতে পারে। কারণ ভর্তির ফরমে ৫টি বিদ্যালয়ের নাম থাকে। ওই পাঁচটি বিদ্যালয়ের যে কোনো বিদ্যালয় অভিভাবকরা সিলেকট করেন। এখানে হয়তো ভুলে তারা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সিলেকট করেছিল। যে কারণে লটারিতে বালক বিদ্যালয়ে সে ভর্তির লটারিতে বিজয়ী হয়েছে।'

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আল আজাদকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এর আগে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছাত্রকে লটারিতে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। এ নিয়েও তুমুল হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

বি আই বি / এস এ /এডিবি