ঠাকুরগাঁওয়ে লকডাউন ঘোষণার পরেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি করায় পঞ্চমদিনে কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২৮ জুন) শহরের চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ি ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনায় জনসমাগম অনেকটা কমেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর ভীড় বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন তৎপরতা বৃদ্ধি করায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর হতে দেখা গেছে।
পঞ্চম দিনে শহরের চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের চেকপোষ্ট বাড়ানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় গাড়ি চলাচল ও পথচারীদের চলাচল কমে গেছে।
এ ছাড়াও জেলা তথ্য অফিস, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে মাইকে ব্যাপক প্রচার চলছে। থানা পুলিশ জনসমাগম রোধে কঠোর অবস্থানে থাকায় এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে লকডাউন অমান্যকারীদের জরিমানা করায় কঠোভাাবে লকডাউন কার্যকর হতে দেখা গেছে।
এদিকে রবিবার পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যের সংখ্যা ৭২ জন।
এ ছাড়াও ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৯ জন। সংক্রমনের হার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
এদিকে, লকডাউন অমান্য করায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৪টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ২৩ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, মানুষকে বাচাতে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবো। বিনা প্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাইরে বের হলে জরিমানার আওতায় আসবে। কাজেই রাস্তায় বের হবেন নাকি জরিমানা দেবেন সিদ্ধান্ত আপনার।
বিআইবি/সিবি/এডিবি/
