ন্যাভিগেশন মেনু

ডায়াবেটিসে ঘাবড়ে না গিয়ে মানুন ৫ নিয়ম


দিনভর বিরামহীন কাজ, অসময়ে খাওয়া আর অল্প ঘুম- সব মিলিয়ে শরীর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। কিন্তু এতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানান রোগে শরীর ভেঙ্গে পড়ে। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লেই অনেকের উদ্বেগ বেড়ে যায়, এতে অসুস্থতাও বাড়তে থাকে।

তবে, সারাজীবন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থেকেও খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করে যাচ্ছেন এমন উদাহরণও কিন্তু কম নয়। তাই ডায়াবেটিস হলে ঘাবড়ে না গিয়ে নিয়ম মেনে চলতে হবে। জেনে নিন ডায়াবেটিস হলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়াবেটিস হলে ভয় পাবনে না। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোাগসন করুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকাল এবং সন্ধ্যা। হাঁটার সময় ধীরে হাঁটবেন না। দ্রুত হাঁটবেন, যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। নিয়মিত হাঁটলে শরীরের সুগারের মাত্রা সামঞ্জস্যতা পায়। চর্বি ঝরে। শরীরের তারুণ্য ফিরে আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

ভাত-রুটি কম খান: যেসব খাবারে কার্বোহাইড্রেড বেশি সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবার একেবারে ছেড়ে দিন। ভাত-রুটি বন্ধ করে দিন। না পারলে কম কম খাবেন। ভাত খাওয় যদি একদম ছাড়তে না পারেন তাহলে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং মুরগির তরকারি খাবেন।

পানি পান করুন : যেকোনো সুস্থ মানুষেরই প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদেরও উচিত পানি পানে সচেতন থাকা। কারণ ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে কিডনিতে আক্রমণ করে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে একমাত্র উপায় হলো পরিমিত পানি পান করা।

পানি শরীরকে আর্দ্র রাখে। যদি কারো ৩-৪ লিটার পানি পানে সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পানি পান করুন।

ফাইবারযুক্ত খাবার খান : যে সমস্ত ফল খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়া সম্ভব সেগুলো খোসাসহ খাবেন। ফাইবারযুক্ত শাকসবজি, দানাশস্য খাবেন। একজন মহিলার দিনে অন্ততপক্ষে ২৫ গ্রাম এবং পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন।

চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না: গ্লুকোজ বিহীন খাবার খেতে চেষ্টা করুন। চিনি, গুড়, মধু তো খাবেনই না তেল, ঘি বা চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও পরিমাণে একেবারে কম যেনো হয়। এছাড়া শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত চিনি ক্যান্সার কোষের প্রিয় খাবারগুলো মধ্যে অন্যতম। অর্থাৎ এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই চিনি থেকে দূরে থাকুন।

এস এস