ন্যাভিগেশন মেনু

ড. ইউনূসকে হাইকোর্টে তলব


নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিষয়ে আদালতের আদেশ পালন করায় নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হাইকোর্ট তলব করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী ১৬ মার্চ তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কমিউনিকেশনস প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে তিনটি মামলা ছাড়াও তিনি পাঁচটি মামলায় লড়ছেন। মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান।

এরআগে দায়ের করা মামলার তিনটিতে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিল।তিনটি মামলাতেই ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে আসামি করা হয়।

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পান  ড. মুহাম্মদ ইউনুস। অবসর গ্রহণের সময়সীমা নিয়ে এক বিতর্কের পর ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহম্মদ ইউনুসকে অপসারণ করা হয়। 

ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীন কমিউনিকেশন্সের কর্মচারিদের ট্রেড ইউনিয়ন করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কয়েকজন কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে পাঁচটি মামলা করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম, এমরানুল হক, হোসাইন আহমদ ও আব্দুল গফুর।

এর মধ্যে তিনটি মামলায় তৃতীয় শ্রম আদালত তিন আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দেয়। নাজনীন সুলতানা ও আবু আবেদীন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। আর ড. ইউনুস হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এরপর অবশ্য ড. ইউনুস দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট শ্রম আদালতে আত্মসমর্পন করে পাঁচ মামলায়ই জামিন নেন। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেন ও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস নিজের এমডি পদ টিকিয়ে রাখতে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছিলেন বলে অভিযোগ । তিনি নানাভাবে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন।

আইন অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির বয়সসীমা ৬০ বছর হলেও ড. ইউনূসের বয়স ৭০ বছর হয়ে গিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হলো এমডি পদ ছেড়ে দিয়ে উপদেষ্টা হিসেবে তিনি যেন গ্রামীণ ব্যাংকে থাকেন।

কিন্তু তিনি সেটা না মেনে সরকার ও বাংলাদেশে ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কোনো অনুমোদন ছাড়াই এমডি ছিলেন এবং সরকারি বেতনও নিতেন। এটা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনী ।

এস এস