ন্যাভিগেশন মেনু

অভিনেতা কাদেরের অবস্থা সংকটাপন্ন


অভিনেতা আবদুল কাদেরের শরীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই অভিনেতার রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে ৩–এ নেমেছে। তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।

অন্যদিকে আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে দাদার জন্য দোয়া চেয়েছে। সিমরিন লিখেছে, 'আমার দাদা অভিনেতা আব্দুল কাদের বর্তমানে চেন্নাইয়ের সিএমসি ভেলোর হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে। আমার দাদার জন্য সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেন আমাদের মাঝে সুস্থভাবে আবার ফিরে আসতে পারেন।'

আবদুল কাদেরর জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদের। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

তিনি সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপনা করেছে এবং বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরির পর ১৯৭৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কোম্পানি ‘বাটা’তে চাকুরিরত এখনও।

দেশের নাট্যাঙ্গনে আবদুল কাদের একটি সুপরিচিত নাম। স্কুল জীবন থেকেই অভিনয় শুরু তার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার প্রথম অভিনয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রযোজিত বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ জ্ঞানের অনুষ্ঠান ‘বলুন দেখি’-তে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে পুরষ্কারও লাভ করেন আবদুল কাদের।

থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনায় প্রতিটিতে অভিনয় এবং ১০০০টিরও বেশী প্রদর্শনীতে অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে রয়েছে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’ প্রভৃতি।

১৯৮২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে বাংলাদেশের নাটক থিয়েটারের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ -এ অভিনয় করেন। এছাড়া দেশের বাইরে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দুবাই এবং দেশের প্রায় সবকটি জেলায় আমন্ত্রিত হয়ে মঞ্চে অভিনয় করেছেন। এছাড়া টেলিভিশনে দুই হাজারের বেশী নাটকে অভিনয় করেছেন।

মঞ্চ থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে নাম লেখান আব্দুল কাদের। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে কয়েকশ’ টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। বেশিরভাগ হাস্যরসাত্মক চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

চলচ্চিত্র ‘রং নাম্বার’সহ অসংখ্য বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন এই অভিনেতা।

ওয়াই এ/এডিবি