ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ চার ধরনের ধাক্কা-দুর্যোগ একসঙ্গে সামলে নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে দুই পাড়ের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
পদ্মাসেতু নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সেতু বিভাগের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘বিশ্বে কোনো নদীতে নিমির্ত সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতু। নির্মাণাধীন এ সেতুকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘স্বপ্নের সেতু’।‘
তিনি আরও জানান, ‘সেতুর ৪১টি স্প্যানের সবগুলো এখন বসিয়ে দেওয়ার পর এটি লম্বায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো পেয়েছে। কংক্রিট কাঠামোর খুঁটি ও ইস্পাতের স্প্যানের এই সেতু এতই শক্তিশালী যে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কখনো রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এ সময় যদি পিলারের নিচে থেকে ৬৫ মিটার মাটি সরে যায়, আবার একই সময় যদি পুরো সেতু রেল এবং যানবাহনে লোড থাকে এবং একই সময় ৫ হাজার মেট্রিক টন ওজনের আরও একটি জাহাজ এসে সেতুর পিলারে ধাক্কা মারে তাহলেও পদ্মাসেতুর কিছুই হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫৫মিনিটে স্বপ্নের সেতুর ৪১তম ও শেষ স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয়েছে। এখন ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল পদ্মাসেতুর দৃশ্যমান হলো। এখন সম্পন্নের বাকী শুধু রেল অংশের কাজ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চিনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
ওয়াই এ/এডিবি