ফের ঢাকার মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
রবিবার দিনগত রাতে মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে দায়িত্বরত এক মহিলা পুলিশ ও রিকশা চালকসহ তিনজন জখম হয়।
বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় এবং জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জখম ওই মহিলার নাম রাশেদা খাতুন বাবলি (২৮)। তিনি পুলিশের এএসআই।
আর রিকশাচালক লাল মিয়া (৫০) ও একজন পথচারী জখম হয়। জখমদের মধ্যে বাবলি ও লাল মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন।
গত ২৯ এপ্রিল রাতে গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য জখম হন। সেসময় ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) শাখার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে সে ব্যাপারেও তথ্য নিচ্ছেন।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শিবলি নোমান জানান, রাত নয়টার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি মালিবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশেই এএসআই রাশেদা দায়িত্বরত ছিলেন। হঠাৎ ওই গাড়ির কাছে একটি বিস্ফোরণের ঘটে।
পুলিশের ওই গাড়ির চালক কনস্টেবল শফিক জানান, ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা কী যেন ছুঁড়ে মারে। এতে মুহূর্তেই বিকট শব্দ হয় এবং গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ সময় ওই বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের দালানের গ্লাসও ভেঙ্গে গেছে।
রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় একটি তাঁর পাশেই বিস্ফোরিত হয়। এতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। পাশে পুলিশের গাড়ির পেছনে কিছুটা আগুন ধরে যায়।
আহত রিকশাচালক লাল মিয়া জানান, তাঁর বাসা তেজকুনিপাড়ায়। রিকশা নিয়ে মালিবাগ মোড়ে বসেছিলেন। এমন সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তবে কাউকে তিনি দেখেননি।
এসএস
