বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট এবং বাংলাদেশের নগর অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) করবি হলে চুক্তিপত্র দুটি স্বাক্ষর করে বিনিময় করা হয়।
চুক্তি দুটি হলো- ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রাম’ বিষয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট সংস্থার (এএফডি) মধ্যে ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএসের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) চুক্তি।
ইআরডি সচিব শরিফা খান ও এজেন্স ফ্রান্সেইস দো ডেভেলপমেন্ট (এএফডি)’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বোনুই শসেত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রথম চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন। দ্বিতীয় চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ও স্পেস সিস্টেম, এয়ারবাসের সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ভেসভাল।
দেশের প্রথম জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১, ফরাসি কোম্পানি থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের নির্মিত। এটি ২০১৮ সালের ১২ মে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে তারা ফটো সেশনে অংশ নেন। পরে, তারা একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ের যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগের আগে, ম্যাক্রোঁ পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।
এদিন সকালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এটি বাংলাদেশে ম্যাক্রোঁর প্রথম ও কোন ফরাসি প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় সফর। এর আগে ১৯৯০ সালের ২০ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিতেরো বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।