ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলকালে সংঘর্ষে জখম ২৫


স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ মিছিলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ২৫ জন জখম হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারি দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে।

ছাত্রলীগ বলছে, তারা এ ঘটনা সম্পর্কে জানে না। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে-টিএসসি’তে মোদির সফরের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতৃত্ত্বে বিক্ষোভ করে বেশ কয়েকটি বাম দলের ছাত্র সংগঠন।

এ সময় বিক্ষোভে তারা, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর বাতিলের দাবি তোলে। বিকেল সাড়ে চার টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে শাহবাদ ঘুরে আবার টিএসসিতে এসে সমাবেশ শুরু করে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি এবং প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আল কাদেরি জয় বলেন, টিএসসিতে মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের কর্মসূচি থাকলেও প্রতিপক্ষের কর্মীরা এসে কুশপুত্তলিকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেসময় বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে জবাবে তারা ঢিল ছোড়ে।

হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাতটার দিকে আরেকটি প্রতিবাদ মিছিল করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। ফ্রন্ট্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ছাত্রলীগ কুশপুত্তলিকা ছিনিয়ে নিলেও পরে অবশ্য তারা আরেকটি কুশপুত্তলিকা বানিয়ে সেটি দাহ করেছেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসাইন বলছেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাউকে আটকও করা হয়নি।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ ঘটনায় কাউকে আটক বা কোন মামলা হয়নি। তবে কেউ অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।এদিকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ২৫ মার্চ টিএসসি থেকেই আরেকটি মশাল মিছিল বের করা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

২৬ মার্চ ঢাকা সফরে আসছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বাংলাদেশ সরকার এইসব প্রতিবাদকে মোদির সফরের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে না। ঢাকায় একজন মন্ত্রী বলেছেন, মোদির সফরের সময় কোন রকম বিক্ষোভ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 'জনগণকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করবে'।

এস এস