ন্যাভিগেশন মেনু

ঢামেক হাসপাতালের কাছে ৩০ হোটেলের পাওনা ৪০ কোটি টাকা


ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রাজধানীর ৩০টি আবাসিক হোটেলের ৪০ কোটি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। দ্রুত বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে এসব আবাসিক হোটেলের মালিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার (২১ জুন) ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)। মানববন্ধন শেষে তারা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে বিহা’র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ-উর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেলগুলোতে খাবার সরবরাহসহ আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। হোটেলগুলোর সঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল—কর্তৃপক্ষ প্রতি ১০ দিন পর পর বিল সাবমিট করবে। তারা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সেই বিল পরিশোধ করবেন। বিল সাবমিট করার পর ১১ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিল পাইনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে বিল ছাড়ের কথা জানান তারা। বিলের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। তাই গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের বিল ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

বিহা’র সহ-সভাপতি সাইদুল আলম টিটো বলেন, ‘এমনিতে হোটেল ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না। অনেক ইউটিলিটি বিল জমে গেছে। সেসব জায়গা থেকে বারবার বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ দিচ্ছে। এখন পাওনা টাকা না পেলে আমরা কী করব?’

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘তাদের বিলের মধ্যে কিছু অসংগতি ছিলো, এগুলো আপনারা ভালো করে জানেন। সে বিষয়টি আমি উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অনেকে যেটা পাওনা তার চেয়ে বেশি সাইন করেছেন। পরে অডিট এসে সেগুলো পর্যালোচনা করেছে। আমরা চলতি মাসের (৩০ জুন) মধ্যে বিল পরিশোধের চেষ্টা করবো।’

ওআ/