ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’র চ্যাম্পিয়ন টাইম ট্রাভেলার্স


তরুনদের দক্ষতা উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’ এর ১৭ তম আসরের বহুল প্রতিক্ষীত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্ধিতার বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে এই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত দল  ‘টাইম ট্রাভেলার্স’।

প্রতিযোগীতায় রানার্স আপ হয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) এর শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত দল ‘এ্যানিথিং ওয়ার্কস’।

দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে ‘গো ফর ইট’এর সদস্যরা সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর শিক্ষার্থী।

কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা এই প্রতিযোগীতায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ এবং বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ধাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে আজ সোমবার (ডিসেম্বর ১৪, ২০২০) এই তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যাটেল অব মাইন্ডস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারে, তেমনি প্রচলিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে ভাবতে শেখেন। আগামীর জন্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পুঁথিগত বিদ্যা এবং কর্পোরেট কর্মজীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্ম।

এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বেকারত্বের সমাধানও নিশ্চিত করছে, যা বাংলাদেশ সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণরা যেন সঠিক জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। 

তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সঠিক প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিশীলতা, আবিষ্কার, প্রতিযোগীতা, উৎসাহ, নেটওয়ার্কিং- হচ্ছে সমৃদ্ধির মূল মন্ত্র, যা জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে। 

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ্ মুনিম বলেন, হাতে হাত ধরে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। 

এটাই এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র। গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ব্যাটেল অব মাইন্ডস দেশজুড়ে কয়েক হাজার মেধাবী তরুনদের এমন একটি প্লাটফর্ম প্রদান করেছে, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে। 

এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনা এবং আশা করি আমরা সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি। দেশে তরুনদের প্রতিভা বিকাশে এবং বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থ্যান তৈরীতেও ব্যাটেল অব মাইন্ডস আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

`ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কর্পোরেট জগতের অভিজ্ঞতার সেতুবন্ধন তৈরি করে। বাংলাদেশের তরুনদের উৎকর্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে এই প্ল্যাটফর্ম অঙ্গীকারবদ্ধ।  

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে ব্যাটেল অব মাইন্ডস আয়োজন করছে। এবছর ১৭ তম আসর অনুষ্টিত হয় ভার্চুয়ালি এবং সেখানে দেশের ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন করে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। 

অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মৌলিক এবং উদ্ভাবনী ধারনার মাধ্যমে তাদেরকে প্রদান করা বিভিন্ন কেইসের সমাধান করেন। গ্র্যান্ড ফিনেলেতে অংশগ্রহণকারীরা নির্ধারিত বিচারক প্যানেলের সামনে নিজেদের চূড়ান্ত কেসের সমাধান উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন ধাপে বাছাই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সেরা ১৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।   

এস এস