মেয়ের সুস্থতার জন্য তাবিজ আনতে গিয়ে খানকায়ে মসজিদের ইমামের হাতে এক গৃহবধূ ধর্ষিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়,এ ঘটনা কাউকে বলে দিলে কুফরির মাধ্যমে বান মেরে তাকে ও তার সন্তানকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় ওই ধর্ষক ইমাম।
গৃহবধূ ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এটা সবাই জানার পর ধর্ষণের খবর জানাজানি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় মাওলানা সিরাজুল ইসলামের (৫০) নামে মামলা হয়েছে।
আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে রাজধানী ঢাকার কলাবাগান থানা এলাকায় ও-লেভেল পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি তানভীর ইফতেখার দিহান(১৮) আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেট দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় আনুশকাহর বাবার করা মামলায় শুক্রবার দিহানকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেয় পুলিশ। আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।
কিন্তু দিহান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আর তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠান। এদিকে গৃহবধু ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল উলায়া খানকার প্রধান পরিচালক ও সেখানের মসজিদের ইমাম।
গত দুই মাস আগে আবুল উলায়া খানকা শরীফে ওই নারী তার ৫ বছরের শিশুকন্যার জন্য তাবিজ আনতে যান। সেখানে গেলে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম। পরে ওই নারীকে হুমকি দেওয়া হয় যে, এ বিষয়ে কারো কাছে কিছু বললে কিংবা অভিযোগ করলে তাকে ও তার শিশুকে কুফরির মাধ্যমে বান মেরে হত্যা করা হবে।
সে ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি এতোদিন গোপন রেখেছিলেন ওই নারী। মামলায় আরো বলা হয়, ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যায়।
পরে ওই নারী ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য মাতবররা নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে বসে। পুলিশ খবর পেয়ে সিরাজুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, আসামিকে মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এস এস
